তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ঘরে বিজেপির বিধায়ক
বিজেপি বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবির থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিবিরে। তিনি যে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরতে পারেন, সেই সম্ভাবনা ক্ষেত্র তৈরিই ছিল। সোমবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ঘরে যাওয়ার পর জল্পনা আরও বাড়ে।
৭৪ থেকে ৭৩-এ নেমে আসার জল্পনা বিজেপিতে
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরার পর মুকুল রায় সপুত্র ফিরে এসেছেন তাঁর পুরনো দলে। তার আগে বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হলেও তাঁরা ইস্তফা দেন। ফলে বিজেপি কমে দাঁড়া ৭৪-এ। এবার ৭৩-এ নেমে আসার জল্পনা তৈরি হয়েছে বিশ্বজিতের দূরত্ব বৃদ্ধিতে।
তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা মুকুল-ঘনিষ্ঠের
মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ওই বিধায়ক ধারাবাহিকভাবে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন। ফলে জল্পনা বেড়েছে তাঁকে নিয়ে। বিশ্বজিৎ এদিন মুখ্যসচেতকের ঘরে যেভাবে তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতেছেন, তাতে তাঁর তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি শিবিরও আশঙ্কায়, আশা ছেড়েছেন একপ্রকার
বিশ্বজিৎ বলেন, আমি একজন বিধায়ক। জনপ্রতিনিধি কোনও দলের হয় না, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যেখানে খুশি যেতে পারি, যার সঙ্গে ইচ্ছা কথা বলতে পারি। বিশ্বজিতের কথা শুনে বিজেপি শিবিরও তাঁকে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
বিশ্বজিৎকে নিয়ে বিজেপির চিন্তা নিছক নয়
শনিবার বিজেপির পার্টি অফিসে প্রশিক্ষণ শিবিরে বিশ্বজিৎ দাস-সহ ছ-জন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। তবে বাকিরা অনুপস্থিত থাকলেও বিজেপি নেতৃত্বকে তা জানিয়েছিলেন। শুধু ব্যতিক্রম ছিলেন বিশ্বজিৎ। স্বভাবতই বিশ্বজিৎকে নিয়ে বিজেপি চিন্তায় ছিল। সেই চিন্তা যে নিছক নয়, প্রমাণ মিলল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই।
বিজেপির কোনও কর্মসূচির কথা জানলেন না
শনিবার বিজেপির কলকাতা পুরসভা অভিযান ছিল। সেই অভিযানে বিশ্বজিৎ অনুপস্থিত ছিলেন। বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবিরের পর কলকাতা পুরসভা অভিযানেও তাঁকে দেখা যায়নি। বিশ্বজিৎকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিজেপির কোনও কর্মসূচির কথা তিনি জানতেন না।