সলিসিটার জেনারেলের পদত্যাগের দাবিতে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এরপরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
যদিও এই বিতর্কের মধ্যে বিবৃতি দিয়ে তুষার মেহতা জানান, তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু দেখা করতে আসলেও দেখা হয়নি। কারণ তিনি অন্য বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। এরপরেও তৃণমূল তাঁর উপর চাপ বাড়াতেই থাকে। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানানো হয়। এজন্যে ৭২ ঘন্টা সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়।
কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এখনও সিসিটিভি ফুটেজ সামনে না আসায় ফের নতুন করে তুষার মেহতাকে আক্রমণ তৃণমূলের। একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের আশঙ্কা, সিসিটিভি ফুটেজ কি কোনও ভাবে মুছে ফেলা হয়েছে?
অন্যদিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সোমবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি। মূলত সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের দ্বারস্থ হয় শাসকদল তৃণমূল।
রাষ্ট্রপতির কাছে সলিসিটার জেনারেলের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে শুভেন্দুর সঙ্গে তুষার মেহতার যে বৈঠক হয়নি সেই সংক্রান্ত প্রমান্য নথি সামনে আনার দাবি জানানো হয়। এরপরে সুখেন্দু শেখর রায় সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, একাধিক ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী অনেককে এই কাজ করার জন্যে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে তা কেন হবে না সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ উদাহারণও তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা প্রকাশ, বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়নি তো? তৃণমূল সাংসদ বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি করেছি যদি তুষার মেহতা না পদত্যাগ করেন তাহলে তাঁকে অপসারণ করা হোক। কারণ সলিসিটার জেনারেলের পদে থেকে অনৈতিক এবং বে আইনি কাজ করেছেন তিনি। দাবি সাংসদের। অন্যদিকে ফের একবার তুষার মেহতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সলিসিটর জেনারেলের পদ ছেড়ে বিজেপির 'সিক্রেট জেনারেল' হিসেবে কাজ করা উচিত বলে তোপ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। অভিষেক এদিন বলেন, '৭২ ঘণ্টার পরেও তুষার মেহতা, ভারতের সম্মানীয় সলিসিটার জেনারেল তাঁর নিজের বাড়ির ২০ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসজি, আপনি এই দুর্বল যুক্তি নিয়ে বিজেপিতে সিক্রেট জেনারেল পদে কাজ করতে পারেন, কিন্তু ভারতের সলিসিটর জেনারেল হিসেবে নয়।'