পঞ্জাব-রাজস্থানের পর এবার কর্নাটক, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আর 'গদ্দার'দের নিয়ে দুই নেতার মতবিরোধী চরমে

একদিকে যেমন পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যে যেখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। অন্যদিকে ক্ষমতা হারানো কর্নাটকেও দুই প্রভাবশালী নেতা শিবকুমার (shivakumar) এবং সিদ্দারামাইয়ার (siddaramaiah) মধ্যে একাধিক বিষয়ে মত বিরোধ চরমে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৩-এর নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং বিজেপিতে যাওয়া বিধায়কদের ফিরিয়ে নেওয়া (turncoat mla) প্রসঙ্গ।

সিদ্দারামাইয়ার স্পষ্ট বার্তা

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিরদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ১৪ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের কাউকেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। এব্যাপারে তিনি কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি তাঁর কথায় অবিচল থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি বিধানসভার মধ্যে নিজের কথারও উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, যদি বন্যা এবং ভূমিকম্পের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলেও এঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

রাজনীতিতে সাধারণ ঘটনা

এর আগে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার বলেছিলেন, প্রতারণা আর দল পরিবর্তন করা এখন রাজনীতিতে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেই এই উদাহরণ রয়েছে। কংগ্রেস বিজেপির থেকে প্রতাপ গৌড়া পাতিলকে এনেছিল বলে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ দলের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তা ভেবে দেখা হবে। দলের ভালর কথা মনে রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দুই নেতার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হওয়া নিয়েও বিরোধ

এই দুই নেতার মধ্যে ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়েছে। দলের বেশিরভাগ বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়াই করতে চায়। যা মেনে নিতে পারছেন না রাজ্য সভাপতি শিবকুমার। কেননা তিনিই নিজেকে ওইপদের দাবিদার হিসেবে তৈরি করছেন। যদিও শিবকুমার গতমাসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তাঁর কোনও তাড়াহুড়ো নেই। যদিও রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এব্যাপারে যেন নেতা কিংবা বিধায়ক কোনও মন্তব্য না করেন। গতবছর শিবকুমারকে প্রদেশ সভাপতি করার পর থেকে দলের নেতা ও বিধায়করা দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন।

শিবকুমারের সমালোচনায় বিভিন্ন দল

এরই মধ্যে শুক্রবার দক্ষিণের এক বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে শিবকুমারের পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন নিয়ে কটাক্ষ শুরু হয়েছে। যেখানে শিবকুমার করোনা মোকাবিলায় প্রচুর কাজ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে শুধু কংগ্রেস নয়, সব কটি দলের তরফ থেকেই কটাক্ষ করা হয়েছে।

More CONGRESS News  

Read more about:
English summary
Tussle between Shivakumar and Siddaramaiah over CM candidate for 2023 and turncoat MLAs