বিএসএফ জওয়ান সেজেই নতুন জালিয়াতির ছক ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের? উর্দি উদ্ধার ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

কখনও বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার তো কখনও আবার নামী আমলা, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া কীর্তিমান দেবাঞ্জন দেবের কুকীর্তির কথা ইতিমঘধ্যেই জেনে ফেলেছে রাজ্যবাসী। এমনকী দেবাঞ্জনের বহুমুখী প্রতিভা থুড়ি প্রতারণার কারণে নিত্যনতুন রসিকতার রোলও উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার সেই দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিএসএফ কর্তার উর্দি। যাতে লেখা দেবাঞ্জনেরই নাম। আর তাতেই নতুন করে ঘনাচ্ছে রহস্য।

উর্দির পিছনে কী রহস্য ?

সূত্রের খবর, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ২৭ তারিখ মাদুরদহে দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে বিএসএফ-এর ইউনিফর্ম উদ্ধার করে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিটের গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে গত পয়লা বৈশাখ দেবাঞ্জন তার কসবার ভুয়ো অফিসের কয়েকজন কর্মচারীকে প্রথম মাদুরদহে নিজের বাড়িতে ডাকে।

ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?

সেখানেই তারা প্রথম নাকি দেবাঞ্জনের সঙ্গে বিএসএফের যোগযোগের কথা জানতে পারেন। সেখানে খাওয়াদাওয়ার মাঝে তার কর্মচারীদের উর্দিটি দেখান দেবাঞ্জন। এমনকী এও দাবি করেন বিএসএফের পক্ষ থেকে তাকে সাম্মানিকভাবে এক কর্তার পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তারফলে আগামী কয়েকমাস এই উর্দি নিজের পছন্দ তিনি ব্যবহার করতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে কর্মচারীদের সন্দেহ হলেও তার এই বিষয়ে বিশেষ মুখ খোলেনি বলেই জানা যাচ্ছে।

নতুন কোনও জালিয়াতির ছক ?

সিটের তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা কলকাতার পাশাপাশি বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ভুয়ো টিকাকরণের ছক কষছিল দেবাঞ্জন। সেখানেই ব্যবহার করা হতে পারত এই বিএসএফের উর্দি। এমনকী বিএসএফ কর্তা সেজে ওই সমস্ত এলাকার মানুষদের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া অথবা বিএসএফে চাকরি দেওয়ার নামে দেবাঞ্জন নতুন কোনও জালিয়াতির ছক কষেছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

সত্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে বিএসএফের গোয়েন্দারাও

এদিকে লালবাজারের পাশাপাশি এই নতুন ঘটনার সত্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে বিএসএফের গোয়েন্দারাও। তাদের ধারণা, দেবাঞ্জনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য এই উর্দি জোগাড় করতে সাহায্য করেছেন তাকে। কারণ এই অরবিন্দই আগে দীর্ঘদিন বিএসএফের কাজ করেছেন। সেথানেই নিজের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে তিনি এই কাজ করে থাকতে পারেন। কিন্তু বিএসএফের কর্মী অথবা আধিকারিকের উর্দি কারও হাতে থাকা বা বিক্রি করা কার্যত আইনত অপরাধ। কিন্তু তারপরেও মেঘের আড়ালে থেকে এই ঘটনার নেপথ্যে আদপে কারা দেবাঞ্জনকে সাহায্য করেছেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

More BSF News  

Read more about:
English summary
Fake IAS Debanjan is BSF jawan? The mystery surrounding the rescue of the uniform is deepening