মুকুল রায় বিরোধী বেঞ্চে, ভীতি বিজেপিতে
মুকুল রায় দল ছাড়ার পর থেকেই বিজেপিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মুকুল রায়ের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ রয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। এরই মধ্যে মুকুল রায় পাল্টা চাল দিয়েছে বিজেপিকে মাত দিতে। বিধানসভায় মুকুল রায় বিরোধী বেঞ্চে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতেই আরও ভীতি বেড়েছে বিজেপির।
মুকুলের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, নমনীয়তায় প্রশ্ন
আবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুকেই মুকুল রায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন বিজেপির দুই বিধায়ক। এই ঘটনাকেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে যখন বিধানসভায় আবেদন করেছেন শুভেন্দু, তখন বিজেপির একাংশের নমনীয়তা ভালো চোখে দেখছেন না তিনি।
৬ জনের অনুপস্থিতিতে প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে
আর শনিবার দিলীপ ঘোষ ও শুভে্ন্দু অধিকারীর উদ্যোগে বিজেপির হেস্টিং কার্যালয়ে যে বসেছিল বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবির, সেখানে বিজেপির ৭৫ জন বিধায়কের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৭ জন। মুকুল রায় অনুপস্থিত থাকবেন তা নিশ্চিত, কেননা তিনি এখন তৃণমূল নেতা। তাঁকে বাদ দিয়েই ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
বিজেপির শিবিরে অনুপস্থিত ছিলেন যাঁরা
বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে রয়েছে দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কুলটির বিধায়ক অজয়কুমার পোদ্দার ও ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের গরহাজিরায় প্রশ্ন
বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে কয়েকজনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। যেমন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে জল্পনা ছিল। তিনি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে জানে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে তিনি বেসুরো বাজতেও শুরু করেছিলেন। তারপর তিনি দাবি করেন, বিজেপিত যোগ দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আগের মতোই ভালো। ফলে মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিধায়ককে বিজেপি সন্দিহান ছিলই।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে মুকুল-যোগ স্পষ্ট
আর বিশ্বজিতের মতো বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে নিয়েও বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন ছিল। তাঁদের অনুপস্থিতি বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। বাকিদের নিয়েও বিজেপি খোঁজখবর নিচ্ছে, কেন তাঁরা প্রশিক্ষণ শিবিরে এলেন না। এই প্রশিক্ষণ শিবির সব মিলিয়ে বিজেপির অস্বস্তি আর বাড়িয়ে দিয়ে গেল। মুকুল-যোগের ভীতি আরও জাঁকিয়ে বসল বিজেপিতে।