কী বলছে আইসিএমআর?
করোনার প্রথম ঢেউ-এ ১১,১৭৮ জন হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন এরকম রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়েছিল আইসিএমআর৷ এবার ৩২৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এরকম কোভিড রোগীর উপর সমীক্ষা চালিয়েছে আইসিএমআর। তাতেই উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীদের মধ্যে গতবারে মৃত্যু হার ছিল ১০ শতাংশের কিছু বেশি৷ এবারে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশ৷ এর মধ্যে কোমরবিডিটি নেই এরকম রোগীও রয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ বেশি রোগীর অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর লেগেছে!
পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এ অনেক বেশি রোগীর হাসপাতালের প্রয়োজন পড়েছে৷ এবং হাসপাতালে আসা রোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়েছে৷
২০ বছরের নীচে যারা তাদের উপর প্রভাব কম করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের৷
বিভিন্ন রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে থেকে দেখা হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ সব জায়গাতে একই রকমকের ভয়ঙ্ক অবস্থা তৈরি করেছে৷ মৃত্যুহার এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা কোথাও কম নয়৷ তবে আইসিএমআরের গবেষণাতেই উঠে এসেছে দ্বিতীয় ওয়েভেও কম প্রভাবিত ২০ বছরের নীচে থাকা বাচ্চারা৷ করোনার সংক্রমণ এবং সংক্রমিত হলেও হাসপাতালের প্রয়োজন কম এই বয়সীদের ক্ষেত্রে।
করোনার ডেল্টা স্ট্রেনে মৃত্যুহার বেশি জানিয়েছে WHO
ভারত সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর জন্য দায়ী করোনার ত্রিপল মিউটেন্ট ডেল্টা স্ট্রেন৷ এই B.1.617.2 স্ট্রেন এখনও পাওয়া করোনার সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন বলে জানিয়েছে WHO, পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে এই ডেল্টা স্ট্রেনে শরীরে বড় সমস্যা সহ মৃত্যুহারও অনেক বেশি৷ এই স্ট্রেনকে VOC ভাইরাস অফ কনসার্ন ঘোষণা করেছে WHO