রাজ্য সরকারের সর্বশেষ নির্দেশিকা
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে আসছে। ফলে বেশ কিছু আত্মনিয়্ন্ত্রণে ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। গত ২৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল করতে পারবে। অটোও চলতে পারবে রাস্তায়। কিন্তু ১৫ জুলাই পর্যন্ত ট্রেন এবং মেট্রো সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যাবে না। এছাড়াও, সেলুন-পার্লার খোলার অনুমতির কথাও তিনি জানিয়েছিলেন। সবজি এবং মাছের বাজার খোলার সময়সীমা বাড়ানোর কথাও তিনি ঘোষণা করেছিলেন।
মমতাকে কটাক্ষ তথাগতের
এদিন সকালে করা টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি লিখেছেন, কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় অটোরিক্সা চলছে ভিড়ে ঠাসা অবস্থায়। বেশি ভাড়াও দিতে হচ্ছে। যেখানে অটোতে ২ জন করে নেওয়ার কথা, সেখানে ছয়জন করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোক করেন তিনি। পরে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন। সেখান থেকে করোনা না ছড়ালেও কেবল মাত্র লোকাল ট্রেন এবং মেট্রোই করোনা ছড়ায়। কেননা সেগুলি কেন্দ্র চালায়। এই ধরনের দ্বিচারিতে কি কেউ শুনেছেন, প্রশ্ন করেছেন তিনি।
ট্রেন চালুর দাবিতে হচ্ছে বিক্ষোভ
এরই মধ্যে শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁরা অবরোধ করে স্টাফ স্পেশাল বন্ধ পর্যন্ত করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে দক্ষিণ শহরতলীর সোনারপুরের মতো বেশ কিছু জায়গায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি
মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানের বিরোধিতা করে রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, যেখানে বাস, ট্যাক্সি, অটো চলছে, সেখানে ট্রেন চালাতে অসুবিধা কোথায়। যাঁরা জীবিকার মাধ্যম হিসেবে লোকাল ট্রেনকে ব্যবহার করেন, তাঁরা অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে ট্রেন চালানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন, হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।