সিনেমা অনুযায়ী
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত 'এমএস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি' সিনেমায় দেখানো হয়েছিল যে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাক্ষীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির। আই কার্ড দেখতে চাওয়া নিয়ে গোলযোগে মহিলা হোটেল ইন্টার্নের দায়িত্ববোধে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। যদিও ওই গল্প পুরোপুরি সঠিক নয় বলে শোনা যায়। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের অনুরোধেই সিনেমার স্ক্রিপ্টে বেশকিছু পরিবর্তন করেছিলেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে।
আসল গল্প তাহলে কী?
কলকাতার পাঁচতারা হোটেলেই যে সাক্ষী রাওয়াতকে প্রথমবার দেখেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, সে কথা সঠিক। মহিলা হোটেল ইন্টার্নের সঙ্গে পরিচয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। সাক্ষী ও ধোনির পরিচিত বন্ধু তাঁদের মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করেছিলেন। ওই বন্ধুর থেকেই সাক্ষীর মোবাইল নম্বর নিয়েছিলেন মাহি। তাঁদের মধ্যে অল্পবিস্তর কথাবার্তাও শুরু হয়েছিল। এরপর একদিন ধোনি ও সাক্ষীর মুখোমুখি দেখা হয়েছিল কলকাতায়। ঘটনাক্রমে সেটি ছিল সাক্ষীর হোটেল ইন্টার্নশিপের শেষ দিন।
ধোনি সম্পর্কে ততটা জানতেন না সাক্ষী
প্রথম দেখা এবং কথাবার্তা শুনে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তাঁর অতি সাধারণ বলে মনে হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সাক্ষী সিং। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে সেই সময় ক্রিকেট নিয়ে তাঁর খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। 'সচিন তেন্ডুলকর', 'রাহুল দ্রাবিড়', 'সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়' নামগুলির সঙ্গে পরিচয় থাকলেও ক্রিকেট তিনি দেখতেন না। তবু বিভিন্ন জনের মুখ থেকে তিনি এক লম্বা চুলের যুবকের নাম শোনেন। তাঁর মা ওই তরুণ ক্রিকেটারের অন্ধভক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন সাক্ষী। মুখোমুখি সাক্ষাতে ধোনির মাথায় ছোট চুল না দেখতে অবাকই হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটারের হবু স্ত্রী।
২০১৫ সালে নতুন অধ্যায়
২০১৫ সালে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাক্ষী সিং ধোনি। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল ভারতীয় দল। সেই সফরে ধোনির সঙ্গে তাঁর ফোনও ছিল না। সতীর্থ সুরেশ রায়নার থেকে তিনি কন্যা সন্তানের জন্মের খবর পেয়েছিলেন। তবু দেশে ফিরতে অস্বীকার করেছিলেন মাহি। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই মেয়ের মুখ দেখেছিলেন কিংবদন্তি।