কড়া ওম্বুডসম্যান
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদ থেকে আজহারকে সরানোর পাশাপাশি তাঁর সদস্যপদ খারিজ করেছিলেন সচিব-সহ কয়েকজন কর্তা, যাঁরা আজহারের বিরোধী শিবির বলে পরিচিত। স্বচ্ছভাবে কাজ করতে চাওয়াতেই তাঁকে প্রতি পদে বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন আজহার। অনেক টানাপোড়েনের পর বিসিসিআইয়ের বিশেষ সাধারণ সভার লিঙ্ক পেয়ে এইচসিএ-র তরফে যোগ দিয়েছিলেন আজ্জু। কিন্তু তারপরই প্রবল বিরোধিতা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। যদিও এইচসিএ ওম্বুডসম্যান বিচারপতি দীপক ভার্মা আজহারকেই সংস্থার সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি এইচসিএ সহ সভাপতি জন মনোজ, সচিব বিজয়ানন্দ, যুগ্ম সচিব নরেশ শর্মা, কোষাধ্যক্ষ সুরেন্দ্র আগরওয়াল ও কাউন্সিলর পি অনুরাধাকে সাময়িক অপসারণের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ওম্বুডসম্যান নিয়োগের বিরোধিতা করেই এই পাঁচজন শাস্তির মুখে পড়লেন। তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আজ্জুর কামব্যাক
বিচারপতি ভার্মা আজহারকে সভাপতি হিসেবে কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, এইচসিএ-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জমা পড়া যাবতীয় অভিযোগ তিনি নিজেই খতিয়ে দেখবেন। ক্রিকেটের স্বার্থের প্রতি মনোযোগী না হয়ে ওই পাঁচ কর্তা যেভাবে নিজেদের স্বার্থে সংস্থায় নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতেছিলেন তাতেও অবাক ওম্বুডসম্যান। এইচসিএ-র কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনাই যে তাঁর লক্ষ্য সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। ১৮ জুলাই এইচসিএ-র বিশেষ সাধারণ সভা ডাকার আগে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে মে মাসেই অভিযোগ করেছিলেন আজহার।
আইনি পথেই নৈতিক জয়
আজহার আগেই জানিয়েছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী সচিব বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা, অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মিটিং, গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিং ডাকতে পারেন সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর অনুমতি নিয়েই। কিন্তু সচিব সেটা করেননি বলে আজহার দাবি করেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ৩০ এপ্রিলের পর থেকে তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এইচসিএ-তে বিভিন্ন সভা ডাকা হয়েছিল, যার কোনও আইনি বৈধতাই নেই। সবমিলিয়ে এইচসিএ সাক্ষী থাকল মহম্মদ আজহারের আরও একটি ফ্লিকের, কামব্যাকের।