মহিলারা একা বের হতে পারবেন না বাড়ির বাইরে। পুরুষদের লম্বা দাড়ি রাখতেই হবে। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে তাখর প্রদেশে এমনই ফতোয়া জারি করল তালিবান। শুধু তাই নয়, মহিলাদের বিয়ের জন্য পণ নেওয়ার ফতোয়াও দিয়েছে তাঁরা।
ফতোয়া অনুযায়ী, মহিলারা বের হতে পারবেন একমাত্র আত্মীয়ের সঙ্গেই। এই ধরনের গোঁড়া ফতোয়া জারির করার নজির রয়েছে তালিবানে। বিভিন্ন জায়গাতে ইসলামকে হাতিয়ার করে এই ফতোয়া দিয়ে থাকে। কোথায় মেয়েদের স্কুলে যেতে বাধা দেয় তারা। কোথাও আবার মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার উপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন হওয়ার আগে পর্যন্ত এমন সব ফতোয়ার দাপট দেখাত তালিবান গোষী। চাকরি তো দূরের কথা, কোনও পুরুষ আত্মীয়কে ছাড়া বাইরে পা রাখা নিষেধ ছিল মহিলাদের।
শুধু ফতোয়া জারি নয়, এই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তির মধ্যে পড়তে হত। গন পিঠুনির মতো শাস্তি দেওয়ার রীতি ছিল। ধর্মের নামে এই সব ফতোয়া জারি করে জঙ্গিরা।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে একটু একটু করে সরে যাচ্ছে মার্কিন সেনা। এরপরেই ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে তালিবান জঙ্গিরা। দেশের একাধিক জেলাতে ফের ক্ষমতা দখলের পথে এগোচ্ছে তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার কাপিশা প্রদেশে টাগব জেলাতে দখল করেছে তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সব অঞ্চলে সমস্যার মধ্যে পড়েছে বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল, ক্লিনিক। ওই সমস্ত এলাকাতে ভয়ঙ্করভাবে বেরে গিয়েছে খাবারের দাম।
তাখারের গভর্নর আবদুলা জানিয়েছেন, সরকারি বিল্ডিংগুলি ভেঙে সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক ভাবে লুঠপাঠ শুরু করেছে জঙ্গিরা। যা ইচ্ছা তাই করছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগান তালিবানরা। তাদের পাল্টা দাবি।, ইচ্ছাকৃত ভাবে তালিবানদের নাম খারাপ করা হচ্ছে।