দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে পড়েছে
এদিন কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, রাফালে নিয়ে দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের সরকার তদন্তের আদেশ দেওয়ার পরে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর দাবি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বলেই মনে করছে দেশের প্রাচীন এই দল। বিষয়টি তারা সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে তুলবে বলে জানিয়েছে।
আগেও জেপিসি দাবি, এখনও একই দাবি
রাফালে চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস এর আগে অসঙ্গতির অভিযোগ করে যুগ্ম সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি তুলেছিল। কিন্তু তারপরে লোকসভা নির্বাচন, কাশ্মীর ইস্যু, সিএএ পাশ এবং তারপরে ২০২০-এর শুরুতে করোনা। ধীরে ধীরে এই বিষয়টি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। কিন্তু ফ্রান্সে বিচারককে এব্যাপারে নিযুক্ত করার খবর সামনে আসতেই এদিন কংগ্রেসের তরফে ফের জেপিসির দাবি তোলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, একমাত্র যুগ্ন সংসদীয় কমিটিই এই বিষয়টির গভীরে যেতে পারে। আর তারা প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য আধিকারিকদের সমন করতে পারে। যা কিনা সুপ্রিম কোর্টও পারে না। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল তারা রাফালে মামলার শুনানির উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নয়। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে, কবে তার সরকার রাফালে নিয়ে জেপিসি গঠন করবে।
ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যমে রাফালে
ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াপার্টে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানকার স্বাধীন বিচার বিভাগ এই বিষয়ে ওঠা দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তদন্ত করবে। ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল প্রসিকিউটারের অফিস এব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডসাল্ট অ্যাভিয়েশন ভারতীয় দালালকে ওয়ান মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে। যদিও ডসাল্টের তরফে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ
এদিন কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মোদী সরকারের তরফ থেকে ডসাল্টের শিল্প সহযোগী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অনিল আম্বানির রিলায়েন্সকে। এক্ষেত্রে ফ্রান্সের পছন্দের কোনও বিষয়ই ছিল না। এর আগে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অল্যাঁদ প্রায় একই কথা বলেছিলেন। এদিন কংগ্রেসের তরফে মিডিয়াপার্টের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিতে রিলায়েন্সের ৫১ শতাংশ এবং ডসাল্টের ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে। এই চুক্তিতে কোথাও দেশের সংখ্যা হ্যালের উল্লেখ নেই। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৫-র ২৫ মার্চ ডসাল্টের সিইও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং হ্যালের চেয়ারম্যানের সামনে বলেছিলেন, ডসাল্টের সঙ্গে হ্যালের চুক্তির কথা।