অনিল কুম্বলে-চেতনা রামতীর্থ
১৮ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে কখনও কোনও বিতর্কে জড়াননি অনিল কুম্বলে। তবে তাঁর বিয়ের কাহিনিটি বেশ চমকপ্রদ। কুম্বলের স্ত্রী চেতনা রামতীর্থের সঙ্গে ১৯৮৬ সালে বিয়ে হয়েছিল মাইসোরের এক স্টোর ব্রোকারের। সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় স্বামীর থেকে দূরে থাকতে চেতনা একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতে শুরু করেন। সেখানেই আলাপ অনিল কুম্বলের সঙ্গে। বন্ধুত্ব গাঢ় হতে থাকে। ১৯৯৮ সালে স্বামীর সঙ্গে পাকাপাকি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন চেতনা। কুম্বলে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে চেতনা জানান, লভ ম্য়ারেজ বা বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের উপর আস্থা নেই তাঁর। তবে এতেও হাল না ছেড়ে উইকেট ফেলতে লেগে থাকেন কুম্বলে। অবশেষে ১৯৯৯ সালে চেতনাকে বিয়ে করেন কুম্বলে। ১৯৯৪ সালে চেতনার প্রথম পক্ষের সন্তান আরুনিকে নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। আরুনিকে নিয়ে কুম্বলের আপত্তি না থাকলেও চেতনার প্রাক্তন স্বামী মেয়েকে ছাড়তে চাইছিলেন না। শুরু হয় আইনি লড়াই। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। আদালত প্রথমে চেতনার আবেদন খারিজ করে দিলেও পরে চেতনা মেয়েকে নিজের কাছে রাখার আইনি অধিকার পান। অনিল ও চেতনার দুই সন্তান মায়াস ও স্বস্তির সঙ্গে আরুনিও একইসঙ্গে থাকেন। ক্রিকেটজীবনেও পার্টি পছন্দ করতেন না কুম্বলে। সময় কাটাতে ভালোবাসতেন পরিবারের সঙ্গেই। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখী পরিবারের নানা মুহূর্তের ছবি দেখা যায়।
শিখর ধাওয়ান-আয়েষা মুখোপাধ্যায়
শিখর ধাওয়ান আবার বাংলার জামাই। আসলে তাঁর স্ত্রী আয়েষার বাবা বাঙালি, মা ব্রিটিশ। আয়েষার যখন আট বছর বয়স তখন তাঁদের পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। আয়েষা খেলা অন্ত প্রাণ। নিজেও কিকবক্সার। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে দশ বছরের বড় আয়েষার আলাপ ফেসবুকের মাধ্যমে। ফেসবুক দেখতে দেখতেই আয়েষার ছবি দেখে বোল্ড হয়ে যান। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। শিখর ও আয়েষার কমন ফ্রেন্ড আবার হরভজন সিং। আয়েষা যে বিবাহিত সে কথা শিখরকে জানান ভাজ্জি। আয়েষার বিয়ে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে, আলিয়া ও রিয়া দুই সন্তানও রয়েছে প্রথম পক্ষের। আলিয়ার সঙ্গে শিখরের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১৫। শিখরের বাবা এই সম্পর্কে রাজি না থাকলেও মা পাশেই ছিলেন শিখরের। প্রেমপর্ব চলার ফাঁকে ২০০৯ সালে হয় বাগদান। ভারতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিখর অবশ্য কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। অবশেষে ২০১২ সালে বিয়ে হয় আয়েষা ও শিখরের। বিরাট কোহলি-সহ ভারতীয় দলের অনেকেই শিখ মতে অনুষ্ঠিত বিয়েতে অংশ নেন। ২০১৪ সালে জন্ম নেয় তাঁদের একমাত্র সন্তান জোরাবর। সন্তানদের নিয়ে আয়েষা অস্ট্রেলিয়াতেই থাকেন। শিখরের সঙ্গে ক্রিকেট মাঠ ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আসরেও দেখা গিয়েছে। সন্তানদের ছবি পোস্ট করেন শিখরও। গত বছরও দুই কন্যার ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, মিস করছেন। যদিও সম্প্রতি আয়েষা ও শিখরের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলছে। দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের আনফলো করায়। স্ত্রী-র সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে ছবি পোস্ট করছেন না শিখর ধাওয়ান।
মুরলী বিজয়-নিকিতা বাঞ্জারা
মুরলী বিজয়ের বিয়ের কাহিনি অবশ্য বেশ রুদ্ধশ্বাস। আসলে তিনি বিয়ে করেছেন তামিলনাড়ু ও জাতীয় দলে সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী নিকিতাকে। ২০১২ সালে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ চলাকালীন কার্তিক জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গে বিজয়ের সম্পর্কের কথা। তখন নিকিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ডিভোর্স দিতে দেরি করেননি দীনেশ কার্তিক। তারপরই নিকিতাকে বিয়ে করেন মুরলী বিজয়। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালের সঙ্গে বাগদান সেরে ২০১৫ সালের অগাস্টে বিয়ে করেন দীনেশ কার্তিক।
উপুল থরঙ্গা-নিলাঙ্কা ভিতানাগে
বিয়ের ব্যাপারে মুরলী বিজয়ের সঙ্গে মিল রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ওপেনার উপুল থরঙ্গার। দুজনের পার্টনারশিপে ভর করে বহু ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু থরঙ্গা প্রেমে পড়েন দিলশানের স্ত্রী নিলাঙ্কা ভিতানাগের, সেই প্রেম গড়ায় পরিণয়েও। থরঙ্গার সঙ্গে প্রেমের কারণেই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পথে পথে হাঁটেন দিলশান। নিলাঙ্কার প্রথম সন্তান রেসাদু তিলকরত্নে। দিলশান-নিলাঙ্কার বিচ্ছেদের পর নিলাঙ্কাকে বিয়ে করেন থরঙ্গা। পরে দিলশান বিয়ে করেন টেলিভিশনের অভিনেত্র্রী মঞ্জুলা থিলিনিকে।