জন্টি রোডস
দক্ষিণ আফ্রিকার বাজপাখি হিসেবে পরিচিত কিংবদন্তি জন্টি রোডস ১২ বছর ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত এই ক্রিকেটার ১৯৯২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত দেশের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ২৪৫টি ওয়ান ডে খেলে যথাক্রমে ২৫৩২ ও ৫৯৩৫ রান করেছেন। একাধারে হকিতেও নিজের প্রতিভা জাহির করেছিলেন জন্টি। ১৯৯২ সালের অলিম্পিকের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার হকি দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন জন্টি। যদিও দল ওই গেমসে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
যুজবেন্দ্র চাহাল
ভারতের এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল দেশের হয়ে টি২০ এবং ওয়ান ডে-তে দুর্দান্ত দক্ষতায় পারফরম্যান্স করে চলেছেন। একাধারে তিবি পেশাদারি দাবাড়ুও বটে। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে দাবাতেই নাম করেছিলেন চাহাল। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি চুটিয়ে বিভিন্ন দাবার টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। ২০০২ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় অনূর্ধ্ব ১১ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন এই ভারতীয় স্পিনার। ২০০৩ সালের অনূর্ধ্ব ১২ দাবা বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন চাহাল। ইন্টারন্যাশনাল চেজ ফে়ডারেশনে এখনও যাঁর এলো রেটিং ১৯৫৬।
ভিভ রিচার্ডস
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ও স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডসকে ভয় পেতেন না বিশ্বে এমন কোনও বোলার ছিলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা ভিভ, দেশের হয়ে ফুটবল বিশ্বকাপেও (মূলপর্ব নয়) লড়াই করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আন্টিগুয়া ও বারবুদার হয়ে অংশ নিয়েছিলেন স্যার ভিভিয়ান।
এলিসে পেরি
অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বের এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা মহিলা অল রাউন্ডার এলিসে পেরি, দেশের মহিলা ফুটবল দলের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৮ সালে মহিলাদের এশিয়ান কাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি ডিফেন্ডারের ভূমিকা পালন করেছিলেন। পেরির নামের পাশে তিনটি আন্তর্জাতিক গোলও রয়েছে।
ইয়ান বথাম
ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলের সঙ্গেও নিজের নাম যুক্ত করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান বথাম। ৭ হাজারের বেশি রান ও ৫০০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক এই কিংবদন্তি ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে বেশ কয়েকটি পেশাদারি ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন।