রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের শেষ লগ্ন থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। ফলে স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্রে ভোট এবং শূন্য আসনে ভোট নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। রাজ্য সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলায় করোনা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। দ্রুত ছন্দে ফিরছে বাংলা। ফলে রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে।
কোন কোন সাতটি কেন্দ্র উপনির্বাচন
রাজ্যে সাতটি কেন্দ্র শূন্য রয়েছে। এই সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। এই দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভবানীপুরে কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর ভোটের ফল প্রকাশের আগেই মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। তিনিই বিজয়ী হন। ফলে েই আসনটিও শূন্য। আর বিধায়ক নির্বাচিত হয়েই ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ শান্তিপুর থেকে জগন্নাথ সরকার এবং দিনহাটা থেকে নিশীথ প্রামাণিক। গোসাবা কেন্দ্রটি সম্প্রতি শূন্য হয়েছে বিধায়কের মৃত্যুতে।
রাজ্যসভার দুটি আসনেও উপনির্বাচন
এছাড়া মানস ভুইঁয়া ও দীনেশ ত্রিবেদীর রাজ্যসভার আসনটিও শূন্য। এই সবকটি আসন পূরণ করতে চেয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল, রাজ্যসভার দুটি আসনে উপনির্বাচন করার পরিবেশ রয়েছে কি না। সেই চিঠির জবাবে রাজ্য তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছে।
নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের কী জবাব
রাজ্য জানিয়েছে, বাংলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্যে করোনা সক্রিয়ের হার ছিল ৩৩ শতাংশ। আর এখন করোনা সক্রিয়ের হার ৩ শতাংশ। রাজ্যসভার দুটি আসন ছাড়াও বিধানসভার সাতটি আসনেও উপনির্বাচনের পরিবেশও রয়ছে। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, রাজ্যে উপনির্বাচনের জট কাটতে পারে এবার।