নির্বাচন কমিশনের নথিতে 'গলদ'
যে খবর নিয়ে এত শোরগোল, তা হল নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এসএন রায় স্কুলের ১১০ নম্বর বুথের। নির্বাচন কমিশনের নথি দিয়ে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল ওই বুথে ভোটার ৬৭৬ আর ভোট পড়েছে ৭৯৯। ফর্ম ১৭ সিতে এই তথ্য দিয়ে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার।
শুভেন্দু অধিকারীর নিশানা
প্রকাশিত খবর নজরে আসতেই পাল্টা আক্রমণে গিয়েছেন শুভএন্দু অধিকারী। পাল্টা তথ্য দিয়ে পুরো বিষয়টিকে ভুয়ো খবর বলে দাবি করেছেন তিনি। ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছেন, ওই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৯৯ আর ভোট পড়েছে ৬৭৬ টি। একই দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর অ্যাডিশনাল ইলেকশন এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্ট অঞ্জন ভারতী। তিনি তথ্য দিয়ে দাবি করেছেন, ১১০ নম্বর বুথে ৭৯৯ টি ভোটের মধ্যে ৬৭৬ টি ভোট পড়েছিল। এর মধ্যে বিজেপি ৩৪২ এবং তৃণমূল ৩০৪, সিপিএম ২২ এবং অন্যরা ৮ টি ভোট পেয়েছিল।
আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা
শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেছেন, এই ধরনের ভুয়ো খবর প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের থাকা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলার মানুষকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে হেরে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পিছনে জঘন্য খেলা, অভিযোগ তৃণমূলের
তবে রেয়াপাড়ার বুথের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে নন্দীগ্রামের গণনা নিয়ে আরও একবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের অভিযোগ, ২ মে শেষের দিকে ৩ ঘন্টা ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর ভিভিপ্যাট গণনার সময়ও তৃণমূলকে রাখা হয়নি।