এখনও প্রবেশ করেনি মৌসুমী বায়ু
রাজস্থানের বড় অংশ, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং পঞ্জাবে আগামী ৫-৭ দিনেও মৌসুমী বায়ু প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই। কেননা মৌসুমী বায়ু প্রবেশের জন্য যেসব শর্তগুলির প্রয়োজন হয়, তার কোনওটিই বায়ুমণ্ডলে দেখা যাচ্ছে না। কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে ৩ জুন। বাংলায় ১১ জুন। উল্লিখিত রাজ্যগুলি বাদ দিয়ে দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মৌসুমী বায়ু।
৭ রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে শুকনো পশ্চিমা এবং দক্ষিণ পশ্চিমা বায়ু উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করছে। যার জেরে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম মধ্য প্রদেশের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণভাবে সমতল এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বেশি হলে এবং স্বাভাবিকের থেকে যদি ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে তাহলে তাপপ্রবাহ বলা হয়। অন্যদিকে প্রবল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয় যদি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে।
৭ জুলাই নাগাদ পরিস্থিতি অনুকূল হতে পারে
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৭ জুলাই নাগাদ পরিস্থিতি অনুকূল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাব সেখানে পড়তে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সাধারণ ভাবে দিল্লিতে ২০ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ দেখা যায়। তারপরেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করে। এবার মৌসুমী বায়ু প্রবেশে দেরি হওয়াতেই এই পরিস্থিতি।
দিল্লিতে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা
দিল্লিতে একদিকে যেমন তাপমাত্রা বাড়ছে, অন্যদিকে সেখানে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। কেননা তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতির জেরে মানুষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ এয়ারকন্ডিশনার চালিয়ে রাখার প্রবণতা বেড়েছে। বুধবার দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬,৯২১ মেগাওয়াট। যা এইবছরে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি বলেই জানা গিয়েছে। এই চাহিদা গত বছরে ছিল ৬৩১৪ মেগাওয়াট। গত ৩০,২৯, ২৮, ২৪ এবং ২৩ জুন সেই চাহিদা ছাড়িয়েছে বারেবারে।
দুই বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা বিএসইএস রাজধানী পাওয়ার লিমিটেড এবং বিএসইএস যমুনা পাওয়ার লিমিটেড নিজের নিজের এলাকায় সফল ভাবে চাহিদা (২৯৩৭ মেগাওয়াট এবং ১৫৫৮ মেগাওয়াট) পূরণ করার দাবি করেছে। এছাড়াও টাটা পাওয়ারও ১৯৭৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চাহিদা সামাল দিয়েছে।