২৮ জুন মমতার নিশানায় ধনখড়
একসপ্তাহের উত্তরবঙ্গ সফর সেরে রাজ্যপাল কলকাতায় ফেরেন ২৮ জুন। সেই দিন বিকেলে নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত। জৈনি হাওয়ালা মামলায় কে যুক্ত ছিলেন, চার্জশিটে নাম ছিল কিনা না প্রকাশ করুন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ ভাগের চক্রান্তকারীদের সঙ্গে বৈঠকেরও অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপাল অবশ্য জবাব দেন। তিনি বলেন, এই মামলার চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না।
২৯ জুন অন্যতম অভিযুক্তের মৃত্যু
এদিন তৃণমূল ভবনে করা সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের অংশ তুলে বলেন, এক ব্যক্তির ছবি বেরিয়েছে। তিনি ২৯ জন রাতে মারা গিয়েছেন। তাঁর নাম সুরেন্দ্র জৈন। যিনি জৈন হাওয়ালা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। সুখেন্দুশেখর রায় আরও বলেন, এই ব্যক্তির কাছেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর টাকা আসত। তৃণমূল অভিযোগ করার পরে মারা গিয়েছেন। এই মৃত্যু কি প্যানিক অ্যাটাক না কাকতালীয় তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
রাজ্যপালকে নিশানা
রাজ্যপালকে নিশানা করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, উনি মারা গিয়েছে আর এর একজন সাইলেন্ট মোডে চলে গিয়েছেন। এই দুই বিষয়ের মধ্যে সংযোগ আছে বলেও মনে করে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন. জৈনের ডায়েরিতে তাঁর নাম রয়েছে, এই বিষয়টি সামনে আনার পরে তিনি (রাজ্যপাল) আর কোনও মন্তব্য করেননি। যিনি সব ব্যাপারে মন্তব্য করেন, তিনি কেন একেবারেই চুপ করে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার
সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁর অপসারণ চেয়ে তৃণমূল রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন। তিনি সঞ্জয় কাপুরের লেখা ব্যাড মানি ব্যাড পলিটিক্স নামে একটি বইয়ের উল্লেখ করে তার এক পাতায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগদীপ ধনখড়ের নামের পাশে ৫.২৫ কোটি লেখা রয়েছে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি বলেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ধনখড়ের জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে টুইট করেছিলেন, তা নিয়ে রাজ্যপাল চুপ কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।