কোনও কিছুতেই সিরিয়াস নয় সরকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনও কিছুতেই সিরিয়াস নয়। এদিন এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন শিক্ষক পদে ৩২ হাজার চাকরি হবে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, সরকারি চাকরি-শিক্ষক নিয়োগ এসবের গল্প তো চলছে আগে থেকেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, হাইকোর্ট দিচ্ছে না, তিনি আর কী করবেন।
হাইকোর্টে তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ
অধীর চৌধুরী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের গণনা নিয়ে হাইকোর্টে তৎপর। হলফনামা জমা না পড়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টে চলে যাচ্ছেন। শিক্ষক নিয়োগে বাধা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রুটিহীন ব্যবস্থা করে চাকরির বন্দোবস্ত করছেন না। অজুহাতের রাজ্যে আর কতদিন রাজ্যের বেকার যুবকরা বঞ্চিত হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
হাইকোর্টে ধাক্কা সরকারের
প্রসঙ্গত এদিনই রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুজোর আগে প্রচুর সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা দফতরের তরফে ইন্টারভিউয়ের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে।
জেলা পরিষদের কাজ নিয়ে কটাক্ষ
অধীর চৌধুরী এদিন কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন, এখানে কাজটাই হয় না, অকাজ হয়। তিনি বলেন, একটা রাজ্যের স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চে রয়েছে জেলাপরিষদ। রাস্তা, বড় প্রকল্প সব জেলা পরিষদই ঠিক করে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, জেলাপরিষদের কাজই এখন হয়ে গিয়েছে, টেন্ডার কবে হবে, তা খুঁজে বেড়ানো। টেন্ডারের ভাগ কী হবে, সেই ভাগ কোথায় বন্টিত হবে, তাই এখন দেখে জেলা পরিষদ। তিনি বলেন, মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না, বহু প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি জেলা পরিষদকে হেডলেস চিকেন বলে বর্ণনা করেছেন।
বিধানসভার অধ্যক্ষের অবস্থানকে জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা, একাধিক বিষয় নিয়ে কড়া চিঠি ধনখড়ের