সরকারি বঞ্চনার অভিযোগ
জীবন বাজি রেখে, মাসের পর মাস পরিবার ছেড়ে প্রান্তিক জায়গা পর্যন্ত নিরলস পরিষেবা দিয়ে যাওয়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা পাচ্ছেন না সরকার ঘোষিত আর্থিক সহায়তা, এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের তরফ থেকে। তাদের অভিযোগ, বহু যোদ্ধাকেই চিকিৎসা পেতে হয়েছে নিজের পকেটের পয়সায়। কোভিড শহিদের পরিবার পাচ্ছেন না সরকারি বিমার টাকা। একটা বেডের জন্যে ঘুরতে হয়েছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের টিকার জন্যে নামতে হয়েছে রাস্তায়। একই সঙ্গে অনৈতিক, স্বজনপোষণের বদলি, প্রমোশন, নিয়োগের অভিযোগও তোলা হয়েছে এই সংগঠনের তরফ থেকে। আরও অভিযোগ গুরুতর অসুস্থ চিকিৎসকও স্বেচ্ছায় অবসর নিতে পারছেন না। কোর্টের রায়ে অবসর পেলেও পাওনা গন্ডা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ।
চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ
এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতেও দেশজুড়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহের কোনো বিরাম নেই। এমনকি করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যুর শেষকৃত্যে বাধা দেওয়ার বেদনাদায়ক ঘটনাও ঘটেছে দেশে । করোনা আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে থাকায় দিল্লির চিকিৎসকের মাইনে কাটার অভিযোগ উঠেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলা চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের তাই স্বাভাবিক দাবি একটু মর্যাদা, একটু সন্মান এবং কর্মস্থলে সুরক্ষা, নিরাপত্তা।
খোলা থাকবে ইনডোর-আউটডোর-জরুরি পরিষেবা
চিকিৎসক দিবসেও খোলা থাকবে আউটডোর, ইনডোর,জরুরি পরিষেবা। চলবে কোভিড, নন-কোভিড চিকিৎসা। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন কর্মস্থলে, যুদ্ধক্ষেত্রে। সরকারি ছুটি থাকলেও এই দিন তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। সরকারি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘ দিনের ন্যায় সঙ্গত দাবিগুলির সুরাহা হলে তাঁরা খুশি হতেন, বেশি সম্মানিত হতেন।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস,পশ্চিমবঙ্গ (এএইচএসডি, ডব্লিউবিডিএফ, ডিএফডি, এসএসইউ, এইচএসএ) সিদ্ধান্ত করেছে এই বছরের (১ জুলাই, ২০২১) চিকিৎসক দিবস আনন্দ উৎসবে নয়, পালিত হোক, কোভিড যুদ্ধে শহিদ হওয়া, হারিয়ে যাওয়া আমাদের সাথী চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী বন্ধুদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে।
চিকিৎসক সংগঠনগুলির তরফে তোলা হয়েছে একাধিক দাবি
১) প্রতিটি কোভিড শহিদ পরিবারের একজনের স্থায়ী চাকরি ও সরকার প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা
২) প্রতিটি স্বাস্থ্য জেলা কেন্দ্রে কোভিড শহিদ মিনার
৩) স্বাস্থ্য ভবনে কোভিড শহিদ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম
৪) কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা
রাজ্যপালের বাজেট ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার নয়, ২০২০ সালের পুনরাবৃত্তিতে বিতর্ক