চলতি বছরের শুরুর কিছু সময় পর থেকেই ভারতের বুকে আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সঙ্গে সমানতালে উদ্বেগ বাড়াতে থাকে ডেল্টা স্ট্রেন। এখন তার নব দোসর ডেল্টা প্লাসকে নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুহার অনেক বেশি। এমনকী দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের প্রাণপাতের পরিমাণও অনেকটাই বেশি।
যদিও গোটা সমীক্ষাটিই চালানো হয় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপর। ম্যাক্স হেলথ কেয়ারের তরফেই চলে গোটা কর্মকাণ্ড। আর তাতেই দাবি করা হয়েছে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি রয়েছে। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৪৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর উপর এই ধাপে পরীক্ষা চালানো হয়।
যার মধ্যে ১০ শতাংশই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যা আদপে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে প্রথম ঢেউ চলাকালীন হাসপাতালে ভর্তি ১৪ হাজার ৩৯৮ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালায় একই সংস্থা। যাতে দেখা যায় মৃত্যুহার ছিল ৭.২ শতাংশ। প্রথম ঢেউয়ের এই রোগী তথ্য সংগ্রহ করা হয় মূলত গত বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে।
শিশুদের জন্য নিরাপদ চিনের করোনা ভ্যাক ভ্যাকসিন, দাবি নতুন গবেষণায়
সূত্রের খবর, সমগ্র সমীক্ষার জন্য উত্তর ভারতের ১০টি বড় হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলেরই ৬টি হাসপাতাল ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা সমীক্ষা রিপোর্ট মেডিকেল জার্নাল MedRxiv-এ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটির গণ্ডি পার করেছে। পাশাপাশি মারা গিয়েছেন ৩ লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি মানুষ। যার সিংহভাগই দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে।