কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মাঝে প্রায় তিন মাসের গ্যাপ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এ নিয়ে প্রচুর বিতর্কও তৈরি হয়েছে৷ বিরোধীরা সমালোচনা করে বলেছেন, ভ্যাকসিনের উৎপাদন নেই তাই এই সব পদ্ধতি নিতে হচ্ছে৷ কিন্তু এবার মোদী সরকারকে টপকে গিয়ে দু'টি ডোজের মাঝে ১০ মাসের গ্যাপ রাখার কথা বলছে খোদ অ্যাস্ট্রজেনকা কোম্পানিই। এই অ্যাস্ট্রোজেনকার ফর্মুলা নিয়েই ভারতে সিরাম ল্যাবরেটরি বানিয়েছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
কী বলছে নতুন গবেষণা?
করোনার থেকে মুক্তিপেতে প্রতিদিন নিত্যনতুন গবেষণায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনকা কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মাঝে বেশি সময়ের পার্থক্য রাখলে সুরক্ষিত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে শরীরে৷ এই গবেষনায় নতুন করে ভাবাচ্ছে গবেষকদের। এমনকি এই সময়ের মধ্যে কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ হলে লড়াই করছে অ্যান্টিবডি।
১০ মাস গ্যাপে দু'টি ডোজ নিলে কী সুবিধে?
ভ্যাকসজারভিয়া নামের গবেষণা পত্রটিতে বলা হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনকার প্রথম ডোজ যে অ্যান্টিবটিগুলি তৈরি করে তা প্রায় ১ বছর স্থায়ী থাকে৷ তবে ১৮০ দিনের মাথায় এদের সুরক্ষা কবচ কিছুটা দূর্বল হয়। তাই প্রথম ডোজের পর ১০ মাসের সময়ের পার্থক্যে দ্বিতীয় তোজ নিলে শরীর বেশিদিনের জন্য বেশিমাত্রায় সুরক্ষিত অ্যন্টিবডি পাবে।
ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ
গবেষণাপত্রটিতে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ কিংবা তৃতীয় ডোজের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে৷ প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রায় ১ মাস পর কিংবা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর এই বুস্টার ডোজের কথা বলেছে অক্সফোর্ডের গবেষণা। বুস্টার ডোজ মানুষের শরীর দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করবে বলে দাবি অক্সফোর্ডের গবেষণার৷
কী বলছেন অক্সফোর্ডের ভাইরোলজিস্ট অ্যান্ড্রু পোলার্ড?
আগেই মোদী সরকাররে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ গ্যাপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু পোলার্ড৷ এবার তিনি আবারও দুটি ডোজের মাঝের সময় বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন৷ পোর্লাডের কথায়, যদি দুটি ডোজের মাঝের সময় বাড়িয়ে ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিৎ।'