রাজ্যপালকে পাঠানো হয়েছে ভাষণের খসড়া
২ জুলাই বসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যপাল ভাষণ দেবেন। বলা ভাল সরকারের লিখে দেওয়া ভাষন পাঠ করবেন। এটাই রীতি। রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি একই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। সেই মতো মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়া খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের কাছে। এর আগে বাংলার বাকি সব রাজ্যপাল নীতি অনুযায়ী সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করেছেন। এমন কী গতবছরও রাজ্যপাল সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করেছিলেন।
খসড়ায় আপত্তি রয়েছে রাজ্যপালের
সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলনের সময় রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন বিধানসভায় ভাষণের খসড়ার কথা। এব্যাপারে তাঁর আপত্তি নিয়ে যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তাও জানিয়েছিলেন। ওই আপত্তি নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ডাকলে সংবিধানগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যেতে বাধ্য। অন্যদিকে রাজ্যপালের দাবি মতো সরকার খসড়া পরিবর্তনে বাধ্য নয়।
রাজ্যপালের তলবে এর আগেও রাজভবনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
এর আগেও রাজভবনে একাধিকবার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা কখনও তলব আবার কখনও চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ। ২০২০-র শুরুতে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার এই বছরে ওই একই আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন রাজভবনে। আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকেও পাঠিয়েছেন রাজভবনে।
৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে বিধানসভার অধিবেশন
২ জুলাই রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করা হবে। ওইদিন দ্বিতীয় পর্বে ডেপুটি স্পিকার পদে তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করার কথা রয়েছে। ৫ জুলাই সোমবার বিধানসভায় শোকপ্রস্তাব আনা হবে। ৬ জুলাই রাজ্যপালের ভাষণের ওপরে ধন্যবাদজ্ঞাপক বিতর্ক শুরু হবে। ওইদিনই দ্বিতীয়ার্ধে বিধানপরিষদ গঠনের প্রস্তাব আনা হবে। ৭ জুলাই তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করা হবে।
ভোটের পর বঙ্গ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও নেই কৈলাশ! তাহলে কি বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদী-শাহ