কোথায় পৌঁছেছে বৈষম্য
পরিসংখ্যান বলছে ভারতে বর্তমানে প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৮৬৭ জন মহিলা টিকা পেয়েছেন। আর তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ। শতাংশের হিসাব বলছে দেশে বর্তমানে টিকা গ্রহীতাদের নিরিখে ৫৪ শতাংশ পুরুষ দৈনিক হারে টিকা পেলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা ৪৬ শতাংশ। থাকছে ৮ শতাংশের ব্যবধান। কিন্তু শেষ আদমসুমারির হিসাব অনুযায়ী ভারতে বর্তমানে মহিলাদের তুলনায় মাত্র ৫ শতাংশ বেশি পুরুষ রয়েছে।
দৃষ্টান্ত তৈরি করছে ৪ রাজ্য
যদিও কেন্দ্রের দাবি এই ব্যবধান ঘোঁচাতে রাজ্যভিত্তিক উদ্যোগ বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এদিকে শুধুমাত্র চার রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, ছত্তিসগড় ও হিমাচলপ্রদেশে মহিলারা পুরুষদের সমান বা কিছু ক্ষেত্রে বেশি করোনা টিকা পাচ্ছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৬ শতাংশ পুরুষ করোনা টিকা পেলে, সেখানে ৫৩ শতাংশ মহিলা পেয়েছেন টিকা। অন্যদিকে কেরলে ৫২ শতাংশ মহিলা ও ৪৮ শতাংশ পুরুষ করোনা টিকা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
টিকাকরণে সাম্যতা আনতে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্যগুলিকে
কেন্দ্রের দাবি টিকাকরণে সাম্যতা আনতে প্রথমেই উদ্যোগী হতে হবে রাজ্যগুলিকে। কেন তারা টিকা নিতে পিছুপা হচ্ছেন, খুঁজে বের করতে হবে এর মূল কারণগুলিকে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, যে সমস্ত মহিলারা এখনও টিকা পাননি, তাঁরা কিন্তু সংক্রমণের এই সময়ে রীতিমতো ঝুঁকির সামনে দাঁড়িয়ে। তার ফলে সামগ্রিক ভাবেই প্রাভাবিত হবে গোটা টিকাকরণ প্রক্রিয়া।
এক নজরে ভারতের করোনা টিকাকরণ
এমনকী এই ফাঁক দিয়েই আগামীতে আগ্রাসন বাড়াতে পারে তৃতীয় ঢেউ। এদিকে পরিসংখ্যানের কাটাছেঁড়া করলে দেখা যাচ্ছে অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন, এমন পুরুষের সংখ্যা মহিলাদের থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতে ৩২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জনের করোনা টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু নিরাশার কথা এই যে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৪ শতাংশ মানুষ। একটি ডোজ পেয়েছেন ২০ শতাংশ মানুষ।