করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ। তিনি বলেছিলেন কেন্দ্রে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে দ্বিধা করছে। তাঁর এই বিবৃতির পর সোমবার সেন্টার কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এন কে অরোরার কঠোর সমালোচনা করলেন।
ড. এন কে অরোরা বলেন, সরকার ভুল তথ্য বাতিল করে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা কাটাতে সরকার কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে প্রশান্ত ভূষণের মন্তব্য সমীচিন হয়নি। সোমবার একের পর এক টুইট বার্তায় প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেছিলেন, কোভিডের কারণে সুস্থ তরুণদের মারাত্মক প্রভাব বা মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু ভ্যাকসিনের কারণে তাঁদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভ্যাকসিনের তুলনায় করোনার প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভাল। ভ্যাকসিন মানুষের অর্জিত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, আমি কোনও কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছা করি না। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দাবি করেছিলেন, "সরকার থেকে কেউ আমাদের দেখতে আসেনি বা আমার স্ত্রীর মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। আমি এখনও আমার স্ত্রীকে ভ্যাকসিন নিতে রাজি করানোর জন্য নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি। আমি ভেবেছিলাম এটি ভাইরাস থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে, কিন্তু এটি আমাদের হত্যা করেছে।
প্রশান্ত ভূষণের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ডঃ এন কে অরোরা বলেন, প্রতিকূল ইভেন্টে পোস্ট ইমিউনিজেশন (এএফআই) এর ঘটনাগুলি শনাক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ন্যানাল সিস্টেম রয়েছে। এই ব্যবস্থাটি সারা দেশে ৭০০টিরও বেশি জেলায় চালু রয়েছে বলে জানান ডাঃ অরোরা।