শেষমেশ চাপের মুখে নতি স্বীকার করল টুইটার। এদিন টুইটারে ভারতের একটি বিতর্কিত মানচিত্র দেখা যায়। যেখানে ভারত থেকে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরকে বিচ্ছিন করে দেখানো হয়েছে। এই ইস্যুতে কার্যত বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ ছড়ায় ভারত জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল জোরদার বিতর্ক ওঠে। তোপের মুখে পড়ে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট। এদিকে, মানচিত্রের এমন ছবির ইস্যুটিকে যে দিল্লিও কড়া চোখে দেখছে, সেখবর আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে টুইটার নিয়ে ফেলল বড় পদক্ষেপ।
এর আগে এদিন টুইটারে প্রকাশিত ভারতের মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরকে বাদ রেখে ও লাদাখ ছাড়াই ভারতের মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও টুইটারে ভারতের মানচিত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। টুইপ লাইফ হেডারের আওতায় এমন মানচিত্রের ছবি আপলোড করা হয়েছে। তারপর থেকেই রীতিমতো তোলপাড় টুইটার। প্রসঙ্গত , এর আগে ডিজিটাল আইন ইস্যুতে টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের বার্তা ও পাল্টা বার্তার খবর উঠে আসে। এদিকে, বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার টুইট নিয়েও টুইচার পদক্ষেপ নেয়।
বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের টুইট নিয়ে বিতর্কের জের বহুদূর যায়। একটা সময় দিল্লি পুলিশ টুইটারের দফতরেও তল্লাশিতে পৌঁছয়। এরপরই ডিজিটাল আইন নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। অন্যদিকে, এর আগে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে যখন ২০২০ সালে ভারত বনাম চিন সংঘাত তুঙ্গে ছিল তখনও টুইটারে ভারতের বিতর্কিত মানচিত্র তুলে ধরা হয়। সেই সময় লাদাখকে ভারতের অংশ বলে দেখানো হয়নি। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র বেশ রুষ্ট হয়। তারপর ফের একবার আজকের ঘটনায় টুইটার ইস্যুতে সরকার কোনদিকে হাঁটে সেদিকে নজর গোটা দেশের।