মাঝারি ও নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য
শরীরে কোনও যন্ত্রের প্রবেশ ছাড়াই এবং স্বল্প মূল্যের ফোন স্ক্রিন টেস্ট (পোস্ট) পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)-এর পক্ষ থেকে গবেষকরা পোস্ট পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাঁরা দেখেছেন যে নিয়মিত নাকের সোয়াব আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে যাঁদের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসছে সেই একই রিপোর্ট আসছে স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে।
পোস্টের গুরুত্ব
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল ইলাইফে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সার্স-কোভ-২ এর বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করার জন্য ধ্রুবক নজরদারি করা দরকার, বিশেষত টিকা দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রভাবকে বাধা দিতে পারে এমন নতুন রূপগুলির উত্থানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে পোস্ট কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে এবং আগামী বছরগুলিতে এই পোস্ট করোনার প্রজাতি সনাক্ত করতেও সাহায্য করবে।
পোস্ট কী
পোস্ট হল ক্লিনিক্যাল টেস্টের চেয়ে পরিবেশগত পরীক্ষা এবং গবেষকরা দাবি করেছেন শরীরে কোনও যন্ত্রের প্রবেশ না ঘটিয় এবং আরটি-পিসিআর টেস্টের চেয়ে কম খরচে এই পরীক্ষা হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনের স্ক্রিন থেকেই সোয়াব সংগ্রহ করা হবে। এখবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে গেলে, তা স্যালাইন জলের মিশ্রণে ডুবিয়ে রেখে দেওয়া হবে। এরপর অন্যান্য নমুনার মতোই এটিও একইভাবে পরীক্ষা করা হবে এবং নমুনায় করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তা দেখা হবে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ডাঃ রডরিগো ইয়ং জানিয়েছেন যে তাঁরা এই গবেষণাটি ৫৪০ জন ব্যক্তিদের ওপর করেছেন যাঁরা পোস্ট ও পিসিআর উভয় টেস্টই করিয়েছেন।
পোস্ট পদ্ধতি কতটা কার্যকর
পোস্ট ব্যবহার করে গবেষকরা উচ্চ ভাইরাল বোঝা সংক্রমক মানুষের ৮১.৩% থেকে ১০০% ফোনে ভাইরাস সনাক্ত করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, ‘সার্স-কোভ-২ আফা, বেটা ও গামা ভ্যারিয়ান্ট যাদের যোগ রয়েছে করোনার সঙ্গে তা আমরা সফলভাবে সনাক্ত করতে পেরেছি।' তাঁরা এই সমাধানে এসেছেন যে পোস্ট হল শরীরের ভেতর কোনও যন্ত্রের প্রবেশ ছাড়াই, স্বল্প মূল্যের সহজ স্মার্টফোন ভিত্তিক সার্স-কোভ-২ টেস্টের বিকল্প। এই মেশিনটি বর্তমানে ডায়গনোসিস বায়োটেকের আওতায় আরও বিকাশ ঘটছে। এই নতুন ধরেনর প্রযুক্তির সৃষ্টি করছেম ইয়ং। পোস্টের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে তার ফলাফল খুব সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি এসএমএস করে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে যাবে।
বর্তমানে কোভিড টেস্টের জন্য যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে
পোস্ট এখনও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি, তবে কোভিড টেস্টের জন্য বর্তমানে বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে আরটি-পিসিআর টেস্ট বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। এছাড়াও কোভিসেল্ফ নামে কিটের মাধ্যমেও ১৫ মিনিটে করোনা টেস্টের ফল পাওয়া যাচ্ছে।