জিটিএ-তে সিএজি তদন্তের হুঁশিয়ারি
এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার আসার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় অভিযোগ করেন, জিটিএ-তে দীর্ঘদিন কোনও অডিট হয়নি। কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও, সেখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। সেখানে ব্যাপক হারে দুর্নীতির অভিযোগ করে জিটিএ নিয়ে তিনি সিএজি তদন্ত করানোর হুঁশিয়ারিও দেন।
পাল্টা জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, জিটিএ নিয়ে রাজ্য সরকার অন্তর্বর্তী অডিট করেছে। এব্যাপারে তিনি বিমল গুরুং-এর সময়ের কথা উল্লেথ করেন। জিটিএ-তে দুর্নীতির অভিযোগও উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের অন্য বিরোধী রাজনীতিকরা বলছেন, জিটিএ অডিটের দায়িত্ব পড়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রেরও।
হাওলা-জৈন কেসে নাম ছিল রাজ্যপালের
১৯৯৬ সালের হাওলা ও জৈন কেসেও এই রাজ্যপালের নাম ছিল। চার্জশিটেও নাম ছিল। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন আদালতকে ম্যানেজ করা হয়েছিল। পরে ফের আদালতে মামলা হলে, তা এখনও আদালতের বিচারাধীন রয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার খুঁজের বের করুক সেই চার্জশিট।
রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত
মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করেছেন। বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনে নিযুক্ত ছয় ওএসডির বেশিরভাগই রাজ্যপালের আত্মীয়। যদিও তার পাল্টা জবাব দিয়ে রাজ্যপাল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্যপালকে সরাতে তিনি কেন্দ্রের কাছে তিনটি চিঠি দিয়েছেন। বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও রাজ্যপাল কীভাবে সরকারি আধিকারিকদের ডিক্টেট করেন, সেই প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদীয় কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছিলেন।
রাজ্যপালকে অপসারণের প্রস্তাব আনা হতে পারে বিধানসভায়
২ জুলাই বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য প্রস্তাব আনা হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তা যে পাশ হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।