সোনিয়া গান্ধী গভীর রাতে ফোন করেছিলেন
আব্দুল মান্নান এদিন বলেন, মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেসের একজন নেতা চিটফান্ড নিয়ে কেস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে উকিল দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য করেছে। সেই মনু সিংভিকে কংগ্রেস রাজ্যসভার মনোনয়ন দিয়েছিল। আর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সোনিয়া গান্ধী তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, টিকিট দেওয়া হয়েছে, সমর্থন করতে হবে। তাই তার বিরোধিতা করেননি, বলেছেন আব্দুল মান্নান।
জোট হয়েছিল দিল্লির নির্দেশে
রাজ্যে আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থান জানালেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। এদিন তিনি ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি এবং তাঁর ভাই তথা সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তিনি বলেন, জোট হয়েছিল। কিন্তু জোটটা যে ভেঙে গিয়েছে, তা কেউ প্রকাশ্যে বলুক। তিনি দাবি করেন, আইএসএফ এবং বামপন্থীদের সঙ্গে জোটটা হয়েছিল দিল্লির নির্দেশে। তাই দিল্লিই বলবে, জোট আছে কি নেই। জোটের কথা সোনিয়া-রাহুল জানতেন বলে জানিয়েছেন আব্দুল মান্নান। দিল্লি যদি বলে জোট নেই, তিনি মেনে নেবেন। আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১১ সালে দিল্লি বলেছিল, তৃণমূলের সঙ্গে জোট হচ্ছে, তিনি যেন না দাঁড়ান, তিনি দাঁড়াননি। সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে তিনি রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেশ করেও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, জানিয়েছেন মান্নান।
তাঁকে কেউ ডিক্টেট করতে পারবে না
এদিন আব্দুল মান্নান বলেন, তিনি দলের অনুগত কর্মী। তাই যদি কেউ ভেবে থাকেন, তাঁকে ডিক্টের করবেন, তা তিনি মেনে নেবেন না। কংগ্রেস সভাপতি আইএসএফ-এর সঙ্গে জোটের কথা অস্বীকার করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিল্লি যদি বলে আইএসএফ কিংবা বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না, তাহলে তিনি তাই করবেন। তিনি বলেন, একনাগাড়ে দল করছেন তিনি। রাজ্যে দলে তাঁর থেকে সিনিয়র কেউ নেই। তিনি দাবি করেন, বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি এখনও জন্মায়নি।
অধীর বলেছিলেন আব্বাসের কথা
আব্দুল মান্নান এদিন বলেছেন, দিঘায় বেড়াতে গিয়ে তিনি অধীর চৌধুরীর ফোন পান আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে তিনি ঢুকবেন না। পরে দিল্লির থেকে অনুমতি নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন। দিল্লির তরফেই তাঁকে ডেটলাইন দেওয়া হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। এখন জোট ভাঙতে যদি দিল্লি জানিয়ে দেয়, তাহলে তিনি তা করবেন, জানিয়েছেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেছেন, যদি দিল্লি জোট ভেঙেও দেয় এবং কোনও বিধায়কের ওপরে অত্যাচার হয়, তাঁর জেলার লোক হিসেবে তিনি পাশে থাকবেন, এব্যাপারে তাঁকে কেউ আটকাতে পারবে না বলেছেন মান্নান।
আব্বাসের সঙ্গে জোট নিয়ে অধীর চৌধুরী
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন, আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়নি। আগামী দিনেও হবে না। এই জোটের কথা তিনি জানেন না। আইএসএফ-র সঙ্গে জোট হয়েছিল বাম তথা সিপিএম-এর। এদিন সেই প্রসঙ্গেই জবাব দিলেন আব্দুল মান্নান।