ফলকে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের নাম
তালতলায় রবীন্দ্রনাথের মূর্তির উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের নাম। প্রতারণা সামনে আসার পরে প্রথমে দেবাঞ্জনের নাম কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা পরে, সেই ফল গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সবাই দেবাঞ্জনকে চিনতেন, কলকাতা পুরসভার নামে কে এই ফলক তৈরি করাল সেই প্রশ্নও ওঠে। যদি এই ফলক সম্পর্কে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি রবীন্দ্রনাথের মূর্তির উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছেন, তিনি এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবাঞ্জনের সঙ্গে মন্ত্রী, বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধিরা
এছাড়াও শাসকদল কিংবা পুরসভার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবাঞ্জন দেবকে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক-পুর প্রতিনিধি দেবাশিস কুমারের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রতারক দেবাঞ্জন ছবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে। কোথাও কোথাও দেবাঞ্জন ভাষণ দিয়েছেন। যদিও কারও সঙ্গে ছবি প্রকাশ নিয়ে মোটামুটি সব রাজনৈতিক দলের অবস্থানই এক। কোনও অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রভাবশালী কোনও মন্ত্রী কিংবা বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ ছবি তুলতেই পারেন। কিন্তু সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক থাকতে হবে, সেরকম কোনও মানে নেই। ইতিমধ্যেই শান্তনু সেন এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
দলের মধ্যেই অস্বস্তি
তালতলা এলাকায় কার হাত ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেতেই নাম উছে এসেছে সেখানকার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা অশোক চক্রবর্তীর। যদি অশোক চক্রবর্তী এব্যাপারে দায় ঝেড়ে ফেলে তা চাপিয়েছেন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে।
পাল্টা ইন্দ্রাণী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, তিনি কোনও অনুষ্ঠানে দেবাঞ্জনের সঙ্গে যাননিন। আর তিনি যে দেবাঞ্জনকে নিয়ে অশোক চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছেন, সেই অভিযোগও মিথ্যা। তিনি দেবাঞ্জনকে চেনেন না বলেই দাবি করেছেন।
সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন শুভেন্দু
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। সেখানে তৃণমূলের নেতানেত্রীর সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের ছবি ও ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন শিবিরে পুরসভার ব্যানার ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন।