আত্মসমালোচনার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপিকে
ভোটে হারার পর থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। দিদিকে তিনি আজীবন শ্রদ্ধা করে যাবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন ভোটে হারের পর। তারপর তিনি ফেসবুকে বোমা ফাটিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা বন্ধ করে আত্মসমালোচনার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপিকে।
বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত রাজীবের!
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল ফের। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও তিনি ফেরার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও রাজনৈতিক মহলের অভিমত। কিন্তু ফেরার পথে অনেক কাঁটা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। তাঁর নামে পোস্টার পড়েছিল। বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছিল ফেরার পথে। তারপরই কি বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া চিঠি, জল্পনা
রাজীবের জোড়া চিঠি সেই ইঙ্গিতই বহন করতে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ভোট পর্বের পর থেকেই বিজেপিতে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তারপর জোড়া চিঠি এল বিজেপির রাজ্য দফতরে। একটি মুখবন্ধ খামে। একটি খোলা চিঠি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়া চিঠিতে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি রয়েছেন বিজেপিতেই।
খোলা চিঠিতে কী বার্তা রাজীবের
খোলা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন ডোমজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে কতজন বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন। তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ঘরছাড়া কর্মীদের ফেরাতে উদ্যোগ নিক বিজেপি। এই মর্মে তিনি চিঠিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু মুখবন্ধ খামে তিনি কী বার্তা দিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠকে আমন্ত্রণ রাজীবকে
শনিবার তাঁর জোড়া চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর রাজীবের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তিনি ২৯ জুনের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন কি না, তা-ই দেখার। বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বিজেপির তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রথীন্দ্রনাথ বসুকে।