১০ বছরে ৮ টি মেডিক্যাল কলেজ
স্বাধীনতার পর থেকে ৬০ বছরে রাজ্যে সেরকমভাবে বাড়েনি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। ২০১১-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পরে মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে গতি আসে। গত ১০ বছরে রাজ্যে ৮ টি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। প্রতিবছর রাজ্যে চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪০০-এর আশপাশে। তবুও রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়।
আরও ছটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত
গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও চিকিৎসার পরিকাঠামো যথেষ্টই কম। কোনও কোনও জায়গায় চিকিৎসকের বদলে কখনও ফার্মাসিস্ট কখনও বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রোগীর উপসর্গের কথা শুনেই ওষুধ দিয়ে দেন। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছটি জেলায় আরও ছটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত জেলাগুলির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর উন্নতি করে, সেগুলিকে মেডিক্যাল কলেজের রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যেসব জেলায় হতে চলেছে নতুন মেডিক্যাল কলেজ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, হুগলির আরামবাগ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, ঝাড়গ্রাম এবং জলপাইগুড়িতে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছটি মেডিক্যাল কলেজ চালু হলে রাজ্যে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। তবে সামনের বছরে প্রাথমিকভাবে দুটি মেডিক্যাল কলেজের কাজ শুরুতে জোর দেওয়া হয়েছে। কেননা জলপাইগুড়ি এবং আরামবাগ পরিকাঠামোর ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ১০০ টি করে আসন থাকবে। অর্থাৎ ছটি মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে মোট ছশোটি আসন বাড়বে। পরবর্তী সময়ে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এই আসন সংখ্যাও বাড়ানা হবে।
ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হবে না
রাজ্যের আধিকারিকরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হবে না। কেননা করোনা পরিস্থিতি অনেক হাসপাতালেরই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও কোনও মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের ৬০ ভাগ দেয় কেন্দ্র আর বাকি ৪০ ভাগ রাজ্যের। বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা হাসপাতাল আর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি করেই মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে পড়াশোনা, হস্টেল, অ্যাকাডেমিক ভবন তৈরি করতে হবে।