এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪ শতাংশ মানুষের করোনা টিকাকরণ
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যান মাত্র ৪.১ শতাংশ করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছে। এই গতিতে টিকাকরণ চললেও ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্ককে টিকাকরণের যে লক্ষ্যনাত্রা নিয়েছে সরকার তা কোনোভাবেই পূরণ করা যাবে না। পাশাপাশি তাদের ধারণা যে ভাবে দেশে একের পর এক করোনার নয়া স্ট্রেন থাবা বসাচ্ছে তাতে আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে দেশে অবশ্যম্ভাবী ভাবে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
বছর শেষে মাত্র ৪৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়ষ্কের করোনা টিকা ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দৈনিক যদি গড়ে ৩২ লক্ষ টিকাও দেওয়া হয় গোটা দেশজুড়ে তবে বছর শেষে দেশের মাত্র ৪৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়ষ্ক করোনা টিকা পাবে। এই গতিতেই টিকাকরণ চললে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি-র দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদ অনুভূতি সহায় এবং সৌরভ আনন্দ সম্প্রতি যাবতীয় বিবরণ সহ এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন।
ভারতে আসছে আরও ৬টি করোনা টিকা
যদিও বর্তমানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন বাদেও ভারতে করোনা যু্দ্ধে মাঠে নেমেছে স্পুটনিক-ভি। এছড়াও বছর শেষের মধ্যে ভারতীয় বাজারে আরও ৬ টি করোনা টিকা আসার কথা রয়েছে। এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কয়েকদিন আগেই নতুন করে সতর্ক করেছে আইআইটি দিল্লি। একাধিক সমীক্ষার পর তাদের দাবি তৃতীয় ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে। এমনকী দৈনিক ৪৫ হাডারের বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতে পারে রাজধানীতে।
৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ
পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে কেজরির শহরে প্রত্যহ ৯ হাজারের বেশি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। অন্যদিকে সতর্ক বার্তা শুনিয়েছে এইমসের ডাইরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়াও। শনিবার তিনি বলেন আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর এই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় পর্বের সংক্রমণে মৃত্যুহারও অনেকটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।