জলস্তর বাড়লেও আকাশ এবার ভাসাবে না
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত জলস্তর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে। সেইমতোই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওই সময়ে সমস্ত লকগেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গুরু সহায় এবার এই সময় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেইমতো কোথা কোথাও বৃষ্টি হয়েছে।
গঙ্গার জলস্তর বাড়লেও আগাম সতর্কতা
ইয়াস পরবর্তী সময়ে যেভাবে গঙ্গা জলস্তর বেড়ে নাকানিচোবানি অবস্থা হয়েছিল কলকাতা ও অন্যান্য সাগর-নদী তীরবর্তী এলাকার, তা এবার হয়নি। কলকাতায় নতুন করে জল জমার কোনও খবর নেই। আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যাতে গঙ্গার জলস্তর বাড়লেও যাতে স্থলভাগে প্রবেশ করতে না পারে।
ভরা কোটাল ও বানের হাত থেকে রক্ষা পেতে
তবে শনিবারও জলস্তর বাড়বে। আবহাওয়া দফতর ও রাজ্য সরকারের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি বলেন, ভরা কোটাল ও বানের হাত থেকে সাগর ও নদী তীরবর্তী এলাকাকে রক্ষা করতে হবে।
বৃষ্টির প্রভাব কমবে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরে বৃষ্টি
এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির প্রভাব কমবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম-মুর্শিদাবাদসহ কয়েকটি জেলায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। পঞ্জাব থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। ওই ঘূর্ণাবর্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। ফলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তার প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভরা কোটালের ঝক্কি কেটে গেলে খানিক রেহাই
এছাড়া ঝাড়খণ্ডের রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তর গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবেও বৃষ্টি হবে ওড়িশায়। জোড়া ঘূর্ণাবর্ত থাকলেও বৃষ্টি হবে মাঝারিমানের। এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে প্রতিবেশি রাজ্যগুলিতে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা থাকছে। শুধু ভরা কোটালের ঝক্কি কেটে গেলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা রেহাই পাবে দুর্যোগ থেকে।