অ্যান্টিবডির প্রতি আটগুণ কম সংবেদনশীল ডেল্টা
সম্প্রতি এসএআরএস-সিওভি-২ জিনোমিক্স কনসর্টিয়ামের আওতায় থাকা ব্রিটেন ও ভারতের বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছেন। টিকার সহায়তাপ্রাপ্ত অ্যান্টিবডির প্রতি উহান-১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ কম সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, জানিয়েছেন গবেষকরা। পাশাপাশি আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি শক্তিশালী হওয়ায় টিকা না নিলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণে যে বেশ সমস্যায় পড়তে পারেন নাগরিকরা, সে কথাও জানিয়েছেন করোনাবিদরা।
টিকাকরণ পরবর্তী সময়েও দরকার সঠিক বিধিনিষেধ
কনসর্টিয়ামের নয়া গবেষণার বিবৃতি অনুযায়ী, "টিকা নিয়েছেন এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা না গেলেও যেসকল স্থানে কোভিডের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে, সেইসকল স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি প্রয়োজন।" ২০২০-র শেষভাগে মহারাষ্ট্রে প্রথম দেখা মেলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের। টিকার প্রতি কম সংবেদনশীল এই বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টের প্রতিলিপিকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত হওয়ায় টিকাকরণের পরেও যে করোনা বিধি পালন জরুরি, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলফার থেকেও ভয়াবহ ডেল্টা
দেশের তিনটি কেন্দ্রের ভ্যাকসিন প্রাপ্ত ১০০ স্বাস্থ্যকর্মীর উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, শ্বাসনালীর মাধ্যমে অধিক সংক্রমণ হোক বা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, সবক্ষেত্রেই আলফাকে ছাড়িয়ে গেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। গবেষণার বিবৃতি অনুসারে, "ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের থেকেও কোভিশিল্ড ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর।" ক্রমবর্ধমান ভাইরাস সক্রিয়তা এবং অ্যান্টিবডি এড়ানোর প্রবণতাই যে ডেল্টার বাড়াবাড়ির কারণ, তা স্পষ্ট জানান গবেষকরা।
একনজরে ভারতের করোনা চিত্র
এদিকে ভারত এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি পার হয়ে গিয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৬৫৯ জন। মারা গিয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ জন। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতে ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। অন্যদিকে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন ৪.১ শতাংশ মানুষ। টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ১৯ শতাংশের সামন্য বেশি মানুষ।