ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্ষমতার অলিন্দে, প্রভাবশালীদের সঙ্গে থেকে দেবাঞ্জন সাজিয়েছেন প্রতারণার ছক

কসবাই হোক কিংবা সিটি কলেজ, ভুয়ো টিকাকরণ শিবির নিয়ে দায় এড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এদিন পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের অন্যতম পদাধিকারী অতীন ঘোষ বলেছেন, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছে দায় তাঁদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলল এই দেবাঞ্জন দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে শাসকদলের বিভিন্ন নেতা ও অনুষ্ঠানে একেবারের সামনের সারিতে রয়েছে এই প্রতারক।

দেবাঞ্জনের ভুয়ো শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ

যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর মোবাইলে এসএমএস না আসায় সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতোই তদন্ত করতে গিয়েই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল অন্য কিছু। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে দেবাঞ্জন দেব সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে তাঁর বিশ্বাসের মধ্যে আনলেন। দলের কোনও নেতা তাঁর সঙ্গে দেবাঞ্জনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, কিনা তা অবশ্য সামনে আসেনি।

'জনসেবক' দেবাঞ্জন

দেবাঞ্জন দেবের নামে যে টুইটার অ্যাকাউন্টটি (@DebanjanDeb07) রয়েছে, সেখানে নিজেকে সে পাবলির সার্ভেন্ট অর্থাৎ জনসেবক বলে বর্ণনা করেছে। আর তাতে যেসব ছবি যে আপলোড করেছে কিংবা রিটুইট করেছে, তার সবই কোনও না কোনও তৃণমূল নেতার অনুষ্ঠানের। সেখানে নিজের উপস্থিতিও সে খুব বড় করেই জানান দিয়েছে এই প্রতারক দেবাঞ্জন।

কখন সুব্রত-ফিরহাদ-দেবাশিসের সঙ্গে ছবি

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাঞ্জনের যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কখনও ফিরহাদ হাকিম, কখনও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কখনও শান্তনু সেন আবার কখনও দেবাশিস কুমারের সঙ্গে প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের উপস্থিতি। একেবারের পাশাপাশি। তবে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিদিন বহু মানুষের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেন, ছবিও তোলেন। তাই তাঁদের মধ্যে কে ভাল আর কে মন্দ তা তৎক্ষণাৎ বের করা খুব একটা সহজ নয়। তবে বিভিন্ন ছবি থেকেই পরিষ্কার দীর্ঘদিন ধরেই যে ঘুরে বেরিয়েছেন ক্ষমতার অলিন্দে। প্রভাবশালীদের সঙ্গে থেকেই সে সাজিয়েছেন প্রতারণার ছক।

কালি দিয়ে নাম মোছার চেষ্টা

এই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তালতলা এলাকার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছিল। ফলকে দেখা যাচ্ছে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ক, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নয়না বন্ধ্যোপাধ্যায়, পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে দেবাঞ্জন দেবের নাম। নামের পাশে লেখা যুগ্ম সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু এই নামের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর সামনে আসতেই নামটি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া চেষ্টা করেছে কেউ বা কারা।

More TRINAMOOL CONGRESS News  

Read more about:
English summary
Different pictures in Social Media shows Debanjan Deb have connections with TMC leaders