লাদাখ সংঘাত
লাদাখ নিয়ে গত বছর থেকেই ভারতের সঙ্গে প্রবল সংঘাত তৈরি হয়েছে চিনের। লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখা মানতে নারাজ বেজিং। এই নিয়ে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছে লালফৌজ। তাতে পরায় ৭০ জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন লাদাখে। তারপর থেকে গালওয়ান উপত্যকায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে। দফায় দফায় আলোচনা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। চিন নিজের অবস্থানে অনড়। কিছুতেই নিজের অবস্থায় থেকে সরতে চাইছে না তারা।
তিব্বতে চিনা বাহিনীর মহড়া
তিব্বতে চিনা বাহিনী মহড়া শুরু করেছে। তিব্বতের উচ্চতম এলাকায় চিনা বাহিনীর এই মহড়া ভাবিয়ে তুলেছে ভারতীয় সেনাকে। কারণ এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে চিনা ফৌজের ওয়েস্টার্ন কমান্ড। এই ওয়েস্টার্ন কমান্ডই লাদাখ সীমন্তে পাহারার দায়িত্বে রয়েছে। প্রায় ১০০ রকমের ট্যাক্টিকাল মহড়া হয়েছে সেখানে। চিনা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তীব্র ঠান্ডায় বরফের মধ্যে তিব্বতের এই মহড়া এর আগে কখনও হয়নি। ২৩ রকমের অবজেক্টিভ দিয়ে প্রশিক্ষন করানো হয়েছে। উচ্চতম জায়গায় কীভাবে শত্রুর মোকাবিলা করা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারতীয় সেনা
তিব্বতে চিনা বাহিনীর এই প্রশিক্ষণের খবরে রীতিমতো চিন্তায় ভারতীয় সেনা। কারণ সেখানে লালফৌজের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তা লাদাখের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় যুদ্ধ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ বলা চলে। তাই নতুন করে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে ভারতীয় সেনা। কয়েকদিন আগেই লাদাখ সীমান্তে হটস্প্রিং এলাকায় চিনা ফৌজের গতিবিধি দেখা গিয়েছে। নতুন করে তাঁবু খাটাতে দেখা গিয়েছে লালফৌজকে।
নিয়ন্ত্রণ রেখা মানতে নারাজ
লাদাখ সীমান্তে এলএসি মানতে নারাজ বেজিং। তাঁরা দাবি করেছে এই নিয়ন্ত্রণ রেখার কোনও বৈধতা নেই। যদিও ভারতও দমতে রাজি নয়। দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৯ দফায় আলোচনা হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে। সেনা পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি চলছে কূটনৈতিক আলোচনাও।