বাকি ডোজের ৮৯% পড়ে রয়েছে ১০ রাজ্যে!
কেন্দ্রের বৈঠকে কোভিশিল্ড সংক্রান্ত তথ্যাদি দেওয়া হলেও কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে কোনোরকম উচ্চবাচ্য করা হয়নি। অন্যদিকে হিসাব অনুসারে, কোভিডে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রতেই সর্বোচ্চ অব্যবহৃত ডোজ পড়ে রয়েছে। মহারাষ্ট্রের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি ৫২.৬৯ লক্ষ ডোজ ক্রয় করলেও পড়ে রয়েছে ২৬.৩৬ লক্ষ ডোজ। কর্ণাটকে বেসরকারি ক্ষেত্রে মজুত ডোজের ৪৭.১২% খরচ হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দেওয়া হয়েছে ৩৮% এবং দিল্লিতে ৩৩.৯%। কেন্দ্রীয় বিবৃতি বলছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে পড়ে থাকা ভ্যাকসিনের ৮৯% মজুত রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, কেরল, হরিয়ানা ও দিল্লিতে।
দমন ও দিউয়ের বেসরকারি ক্ষেত্রে ১১০টি ডোজ
কেন্দ্রীয় হিসাব অনুযায়ী, মিজোরাম, মণিপুর, বিহার ও পুদুচেরিতে বেসরকারি ক্ষেত্রে মজুত ভ্যাকসিনের ১০%-রও কম খরচ হয়েছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর এই যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন ও দিউয়ের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি মাত্র ১১০টি টিকা সংরক্ষণ করতে পেরেছে, যার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ৫৫টি ডোজ! অন্যদিকে গোয়া, গুজরাট ও হরিয়ানার বেসরকারি ক্ষেত্রে মজুত ভ্যাকসিনের প্রায় ৬৩-৬৯% খরচ হয়েছে বলে খবর, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বেসরকারি হাতে মাত্র ১৫.২১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন ডোজ
সূত্রের খবর, দেশে প্রত্যহ ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ বেসরকারি টিকাকরণ কর্মসূচি আয়োজিত হয়। মহারাষ্ট্রে প্রত্যহ সংখ্যাটা ৪০০-৫০০ হলেও পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা ২০০-৩০০ এর আশেপাশে। এই ধরনের বেসরকারি কর্মসূচির আওতায় কর্পোরেট ক্ষেত্রে, হাসপাতালের কোভিড টিকাকরণ বিভাগে এবং আবাসনগুলির টিকা ক্যাম্পে ডোজ দেওয়া চলছে। মে মাসের শেষ পর্যন্ত বেসরকারি হাতে মজুত হয়েছে ১.০৫ কোটি কোভিশিল্ড ও ১৫.২১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন। এই ডোজের প্রায় ৫০% রাজধানী দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতার ৯টি হাসপাতালের হাতে রয়েছে বলে খবর সূত্রের। অন্যদিকে, বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য ৭ই জুন প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের দাম বেঁধে দিলেও বেশ কিছু জায়গায় যে অসাধু উপায়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও।
লাভের অঙ্ক কমার ফলে কমেছে টিকাকরণের গতি
গত ৭ই জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নয়া টিকানীতি আরোপ করার পর থেকে কমেছে লাভের অঙ্ক, ফলে অধিকাংশ হাসপাতাল কমিয়ে দিয়েছে টিকাকরণের গতি, বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে জানান হয়েছে এমনটাই। অ্যাপোলো হাসপাতালের এক আধিকারিকের বক্তব্য, "টিকার দাম বেঁধে দেওয়ার আগে নাম নথিভুক্তির ৯৮-৯৯% টিকাকরণ হত, আর এখন তালিকার ৮০-৮৫% মানুষ উপস্থিত হন টিকাকরণ কেন্দ্রে।" কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, মে মাসে টিকার আকালের মাঝে বেসরকারি ক্ষেত্রে যে চাহিদা ছিল, সরকারি প্রকল্প পুরো দমে চালুর পর তা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
আর্থিক ফায়দা নাকি অন্য রহস্য? কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডের তদন্তে এবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ