আচার্যের অনুমোদন লাগে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে থাকেন রাজ্যপাল। তাঁর অনুমোদন প্রয়োজন হয় অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে উপাচার্য নিয়োগ, মেয়াদ বৃদ্ধি একাধিক ক্ষেত্রে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়েছে।
মেয়াদ শেষ হচ্ছে সুরঞ্জন দাসের
আজ বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে সুরঞ্জন দাসের। আর সেই মেয়াদ শেষের আগে মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে আগামী দু'বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সার্চ কমিটি তৈরি করা হয়নি। নতুন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
আচার্যের অনুমোদন না নেওয়া নিয়ে সংঘাত!
তবে উপাচার্য হিসাবে আরও দুবছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে সুরঞ্জন দাসের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। কার্যত তাঁর সাক্ষার ছাড়াই মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরের যুক্তি, এর আগে রাজ্যপালের কাছে এই বিষয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। একবার নয়, একাধিকবার এই বিষয়ে অনুমোদন চাওয়া হয় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ফলে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত না নিলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হত বলে দাবি সরকারি সূত্রের। এমনকি ওই পদ খালি হয়ে যেত বলেও দাবি।
মেয়াদ বাড়ানো হয় প্রেসিডেন্সির উপাচার্যেরও
আচার্যের অনুমোদন ছাড়াই এর আগে প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরও ২ বছর অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। যা নিয়ে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত তৈরি হয়। তাঁকে অপমান করা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।