কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি
দিলীপ ঘোষ মনে করছেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের যে হিড়িক পড়েছে, তাতে দায় রয়েছে তাঁদের। তৃণমূলের সন্ত্রাস তো আছেই। সেইসঙ্গে এটাও ঠিক যে আমরা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেই এত মানুষ দল ছাড়ছেন, পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলে।
রাজ্য সরকারের সন্ত্রাসই দায়ী
মোট কথা, বিজেপিতে ভাঙনের জন্য তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু তৃণমূল নয়, রাজ্য সরকারেরও মদত রয়েছে সন্ত্রাসে। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে তাঁরা দল ভারী করতে চাইছে। মানুষও ঘরছাড়া না থেকে তৃণমূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘরে ফিরছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে দলীয় কর্মীরা অত্য়াচারিত
দিলীপ ঘোষ বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। এই অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। এ জন্য রাজ্যের সরকার দায় এড়াতে পারে না। সরকারা যদি অত্যাচার করে মানুষ আর কী করবে, তাঁরা তো নিরাদ আশ্রয় খুঁজবেই।
পুরনো কর্মীরা দল ছাড়ছেন না, আশ্বস্ত দিলীপ
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তাই জোর করে তো কাউকে ধরে রাখতেও পারি না। তবে বোটের আগে যাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যেই বেশিরভাগ দল ছাড়ছেন। তাঁরা আমাদের বলে-কয়েই দল ছাড়ছেন। তবে আমরা আশ্বস্ত যে আমাদের পুরনো কর্মীরা দল ছাড়ছেন না। অনেক কর্মী হতাশ। তবু তাঁরা বিজেপিতেই রয়েছেন।