Tokyo Olympics : বেড়েছে পদকের আশা, পথ দেখানো অভিনব বিন্দ্রার কেরিয়ার একনজরে

ভারতের থেকে প্রায় ১০০ জন অ্যাথলিট টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে চলেছেন। ফলে এবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ থেকে পদক আশা করছেন অনেকে। বিশেষ করে দেশের বক্সিং এবং শুটিং বিভাগ যে ফর্মে রয়েছে, তাতে টোকিও থেকে ভারতের সোনা জয়ের আশাও অনেকটাই বে়ড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দরজাটা খুলেছিল ২০০৮ সালে। আলো দেখিয়েছিলেন গ্রেট অভিনব বিন্দ্রা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর কীর্তি ও কেরিয়ার।

ভারতকে পথ দেখিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা

অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। ১৯৮০ সালে গেমসের হকি ইভেন্টে সোনা জিতেছিল ভারতীয় দল। ২৮ বছর পর অর্থাৎ ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক থেকে ভারতকে সোনা এনে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি শুটার। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে প্রথম স্থান দখল করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অ্যাথলিট। অলিম্পিক ছাড়াও ২০০৬ সালের আইএসএসএফ বিশ্বকাপে সোনা জিতেছিলেন বিন্দ্রা। ২০০২, ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসেও প্রথম স্থান দখল করেছিলেন অভিনব। ২০১০ সালের এশিয়ান গেমস থেকে দেশকে রূপো এনে দিয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম শুটার।

এথেন্স অলিম্পিকে অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া

২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। তা সত্ত্বেও সেবার দেশের হাতে পদক তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় শুটার। তার আগে ২০০১ সালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে তিনি সোনা জিতে তিনি প্রথম প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিঃশব্দে ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিন্দ্রা। গেমসের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন কনিষ্ঠতম অ্যাথলিট। ২০০০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও সবচেয়ে কনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী ছিলেন অভিনব। ২০০৬ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন বিন্দ্রা। সবমিলিয়ে এ প্রজন্মের অ্যাথলিটদের কাছে তিনি যে অনুপ্রেরণা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন

১৯৮২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে পাঞ্জাবী পরিবারে জন্ম হয় ৩৮ বছরের অভিনব বিন্দ্রা। পাঞ্জাবের জিরাকপুরে তাঁর আদি বাড়ি। তাঁর ছাত্র জীবন শুরু হয়েছিল ডন বস্কো স্কুল থেকে। এরপর তিনি সেন্ট স্টিফেন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। একই কলেজ থেকে তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেছিলেন। অভিনব বিন্দ্রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেন। বর্তমানে তিনি অভিনব ফারটুরিস্টিক্স এর সিইও পদের দায়িত্ব পালন করছেন। অভিনবের জীবনী নিয়ে সম্প্রতি একটি হিন্দি সিনেমাও তৈরি হতে চলেছে।

পুরস্কার ও সম্মান

২০০০ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। ২০০১ সালে তাঁকে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। ২০০৯ সালে পদ্মভূষণ হয়েছিলেন বিন্দ্রা। ২০১১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে তিনি সম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ পেয়েছিলেন।

More TOKYO OLYMPICS News  

Read more about:
English summary
Tokyo Olympics : Abhinav Bindra was started to bring light in Indian athletics revolution
Story first published: Wednesday, June 23, 2021, 14:55 [IST]