গায়ের জোরে সবকিছু করছে!
এদিন একাধিক ইস্যুতে ফের একবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলাপন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, গায়ের জ্বরে সমস্ত কিছু করছে কেন্দ্র। আইন মানছে না বলেও অভিযোগ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে রাজীব গান্ধীও এমন করেনি বলে এদিন মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, রাজীব গান্ধীর ৪০০ সাংসদ ছিল। কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের কিন্তু অত সংখ্যা নেই। গায়ের জোরে দেশ, সরকার চালানো যায় না। শুধু তাই নয়, একাধিক রাজ্যে বিরোধীরা স্ট্রোং। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে সেলফিস জায়েন্ট বলেও আক্রমণ মমতার।
আইনের পথে মমতা?
আলাপন ইস্যুতে তাঁর পাশে রয়েছে সরকার। আজ কার্যত সাফ বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রের আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো। গায়ের জোরে আইন চলে না।' কিন্তু এরপরেও গায়ের জোর দেখালে আইনের লড়াই হবে। দেখা যাবে কে জেতে সেখানে। সব রাস্তাই খোলা আছে। এদিন মমতা আলাপনবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ওনার মতো দক্ষ অফিসার অনেকে হতে পারে না। কোনও দিন অন্যায় করেননি। দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। এরপরেও যেভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে তা প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অফিসারদের বিচলিত করার চেষ্টা
ইতিমধ্যে আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সৌগত রায়। তাঁর দাবি, বাংলায় হেরে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছে না। আর সেজন্যে প্রতিহিংসা করছে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে। আলাপণকে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে তাতে রাজ্যের অফিসারদেরও ভীত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সৌগত রায়ের। আর অফিসার-কর্মীদের বিচলিত করে প্রশাসনকে দুর্বল করার সবরকম চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর। শুধু তাই নয়, একজন আমলাকে অবসরের পরেও শোকজ করা যায় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এক্ষেত্রে কেন্দ্র কোনও আইন মানছে না বলেও অভিযোগ তাঁর।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে মেজর পেনাল্টি প্রসেডিং শুরু করা হবে। যদি তাঁর এর বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকে, তবে ৩০ দিনের মধ্যে তা চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। কেন্দ্রের তরফে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, কোনও জবাব না পেলে আলাপনের বিরুদ্ধে তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে কর্মিবর্গমন্ত্রক। মুখ্য উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলল কর্মিবর্গমন্ত্রক। তাঁকে শোকজের চিঠি ধরিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের ৮ নম্বর ধারা মোতাবেক চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।