সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন, একাধিকবার কমিশনের কাছে দফা কমানোর আবেদন করা হয়। আর তা না কমানোর ফলে সংক্রমণের চেহারাটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। বিধানসভা ভোটের সময় ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে এদিন কমিশনকে ফের একবার আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেখান থেকে সংক্রমণের হার অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। প্রায় ৭ শতাংশেরও নীচে নেমে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্যের মুখ্যসচিবের।
বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার
তবে তৃতীয় ওয়েভ সামলাতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু বাচ্চারা এই সময়ে বেশি আক্রান্ত হবে সেজন্যে বেশি উদ্বিগ্ন তিনি। এমনকি বাচ্ছাদের মাদের নিয়েও বেশ চিন্তিত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে একটা কমিটি তৈরি করছেন তিনি। যেখানে ১০ জন অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন। মূলত এই কমিটির পরামর্শে চলবে রাজ্য সরকার। বুধবার এই কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। বৈঠক শেষে বাচ্ছাদের জন্যে সমস্ত হাসপাতালে বেড বাড়ানো হচ্ছে। শধু তাই নয়, ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেন মমতা। তাঁর কথায় মায়েদের থেকে যাতে বাচ্চারা না সংক্রমিত হয়ব সেদিনে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত মমতার।
ভ্যাকসিনের কাজ ভালো হচ্ছে রাজ্যে!
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা ভালো কাজ করছে। একাধিক রাজ্যের থেকে অনেক বেশী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২ কোটী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবহণ, দোকানদার সহ সুপার স্প্রেডার এমন ৩৩ লক্ষ মানুষকেও ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা। তবে এখনও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না বলে এদিন অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি টিকা নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত।' তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনটাই বলেন মমতা।