একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ !
গত কয়েকমাস ধরে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে লিলুয়া থানাতে। অভিযুক্ত গোবিন্দ হাজরার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারনার অভিযোগ জমা পড়ে। যেমন সম্প্রতি এক হার্ডওয়্যারের দোকানদারের কাছ থেকে জিনিস কেনেন গোবিন্দ। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার জিনিস কেনেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা তিনি এখনও দেননি। এমনটাই অভিযোগ। আর এরপরে ওই ব্যক্তি লিলুয়া থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, আরও এক ব্যক্তির কাছে ২৫ লক্ষ টাকা নেন। দোকানঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নেন। ওই ব্যক্তিও লিলুয়া থানার দ্বারস্থ হন। একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গোবিন্দকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে নেমে হতবাক পুলিশ!
তদন্তে নেমে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে দেখা যায় দুধের ব্যবসা থেকে কারবার শুরু। এরপর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন গোবিন্দ। পুলিশ জানতে পারে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। কিভাবে এই পরিমাণ সম্পত্তি গোবিন্দ করলেণ সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, একাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেণ গোবিব্দ। রাজনীতিতে থাকার সুবিধে নিয়ে কার্যত যা ইচ্ছা তাই করেছেন। এমনকি সরকারি জমিকেও নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ডাল ব্যবসা থেকে কেলেঙ্কারি ফাঁস!
১৯৯৪ সালে প্রথম গোবিন্দের নামে অভিযোগ হয়। সেই সময় ডালের ব্যবসা করা শুরু করে সে। সেই সময় থেকেই কার্যত অপরাধ এবং প্রতারণাতে হাত পাকাতে শুরু করে এই বিজেপি নেতা। আর এই ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের খাতায় নাম ওঠে। পুলিশের অভিযোগ, বাইরে থেকে ডাল কিনে চড়া দামে বিক্রি করত সে। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধও দিত সে। তাতেও দুধ কম দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। সেই সময় তাঁকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।