দিল্লিতে দল নির্বাচন
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সৌরভের লর্ডসে টেস্ট অভিষেক, ঐতিহাসিক শতরান সব কিছুই এই সেদিনের ঘটনা বলে মনে হয়। এই বিশেষ দিনটিতে অনুভূতির কথা ওয়ানইন্ডিয়া বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সম্বরণ। কথায় কথায় উঠে এল দিল্লিতে দল নির্বাচনের বৈঠকের বিষয়টিও। সম্বরণ বললেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ এপ্রিল ইংল্যান্ড সফরের দল নির্বাচনের বৈঠক ছিল দিল্লির তাজ প্যালেস। সে এক বিরাট ঘটনা। জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ। কোচ সন্দীপ পাটিল, অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন ছাড়াও অংশুমান গায়কোয়াড়-সহ নির্বাচকরা ছিলেন। সকাল ১১টায় শুরু হয়েছিল দল নির্বাচনের বৈঠক। ঠিক ছিল সাংবাদিক সম্মেলন হবে বেলা দেড়টায়। কিন্তু বৈঠক শেষ হয়েছিল প্রায় পাঁচটার সময়। যুদ্ধ, ডিবেট যা-ই বলুন তা হয়েছিল একটা নাম একটা নাম নিয়েই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রবল বিরোধিতা
সৌরভকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিরোধিতা এসেছিল কোচ সন্দীপ পাটিলের দিক থেকে। সৌরভকে অনেকেই সুযোগ দিতে চাইছিলেন না। শেষমেশ অবশ্য সৌরভ ইংল্যান্ডের দলে ঢোকে। দল নির্বাচনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে সন্দীপ-সহ কয়েকজন আমাকে এমনটাও বলেছিলেন, এবার আমাদের খাওয়াতে হবে! আমি সন্দীপ, অংশুমান, আজহারদের বলেছিলাম, নিশ্চয়ই খাওয়াব। এমন একজন ক্রিকেটারকে আজ দিলাম যে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক দিন থাকবে। বাকিটা তো ইতিহাস।
সেই দিনটায়
২৫ বছর আগের দিনটা কেমনভাবে কাটিয়েছিলেন সেটা জানতে চাওয়ায় সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আতঙ্ক কিংবা টেনশনে সেদিন আমি টিভিতে প্রথম চোখ রাখিনি। আমার ছেলে খেলা দেখছিল। ও যখন জানাল সৌরভ ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। নিজেকে বললাম, যাক ফেল করেনি। তারপর তো সেঞ্চুরি। বাকিটা ইতিহাস।
মহারাজকীয় শতরানের ২৫ বছর
২৫ বছর পেরিয়ে এসে আজ সম্বরণ বললেন, ২৫ বছর দীর্ঘ সময়। কিছু বিষয়, কিছু পারফরম্যান্স থাকে যেগুলি অমলিন হয়ে থাকে। সারা জীবনের জন্য মনে গেঁথে থাকে। লর্ডসের সেই ইনিংস, শতরান তেমনই একটি। আমরা আতঙ্কে ছিলাম, টেনশনে ছিলাম। কীভাবে তখন সময় কেটেছে তা আমিই জানি। আবার বলছি, এই মনে হয় সেদিনের ঘটনা। এই কীর্তি অমর কীর্তি। যতদিন ক্রিকেট থাকবে এটাও থেকে যাবে।