অপর বেঞ্চ গঠনের আর্জি
এই মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর সঙ্গে দ্বিতীয় বিচারপতি ছিলেন হেমন্ত গুপ্ত। বিচারপতি বসু এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করার পরেই অপর বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত প্রধান বিচারপতিকে অপর বেঞ্চ গঠনের কথা বলেন এবং যদি এদিনই শুনানি সম্ভব হয়, সেই কথাও জানান। পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয় বিনীত সরণ ও দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
শুক্রবার অপর একটি বেঞ্চের পক্ষে বিচারপতি গুপ্ত কলকাতা হাইকোর্টকে অনুরোধ করেন, নারদ মামলায় তাদের শুনানি পিছিয়ে দিতে। কেননা সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে আবেদন জমা পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর আবেদন
এর আগে প্রথম রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৯ জুন হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের পাশ করা আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। যেখানে নারদা মামলা সরানো নিয়ে সিবিআই-এর আবেদনে রাজ্যকে হলফনামা দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং আইনমন্ত্রী দাবি করেন, সিবিআই-এর অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে হাইকোর্টে জানানোর অধিকার তাঁদের রয়েছে।
মামলা সরাতে চায় সিবিআই
এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে কলকাতায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে নারদ মামলা সরিয়ে নিতে আদালতে আবেদন করে। যেখানে সিবিআই-এর তরফ থেকে বাধার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এব্যাপারে সিবিআই-এর তরফ থেকে ১৭ মে তৃণমূলের বর্তমান তিন নেতা এবং এক প্রাক্তন নেতাকে গ্রেফতারের পরের ঘটনা সম্পর্কে আদালতকে জানানো হয়। সিবিআই-এর তরপ থেকে অভিযোগ করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে সিবিআই অফিসের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আগেও রাজ্যের মামলা থেকে সরেছিলেন অপর বিচারপতি
গত সপ্তাহে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এবার একই পথে হাঁটলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।