তৃণমূলের দুর্বল জায়গাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মুকুল
মুকুল রায়ের দায়িত্ব হবে, যে সমস্ত জেলায় সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেই সমস্ত জেলায় ফের শক্তিশালী করে তোলা তৃণমূলকে। আর তার প্রথম পদক্ষেপ হল আলিপুরদুয়ারে বিজেপির জেলা ইউনিটকে ভেঙে ছত্রখান করে দেওয়া। সোমবার আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ আট নেতা তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূলে ফিরেই বিজেপির আগাগোড়া মুড়িয়ে দিলেন মুকুল
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিলেন ১১ জুন। তারপর ১০ দিন কাটতে না কাটতেই তিনি বিজেপির আগাগোড়া মুড়িয়ে দিলেন আলিপুরদুয়ারের। আলিপুরদুয়ারে শক্তি বাড়ল তৃণমূলের। এবার আলিপুরদুয়ার জেলায় কোনও সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। পাঁচটির মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। সেই জেলারই জেলা সংগঠনকে দুরমুশ করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করে তোলার প্রয়াস নিলেন মুকুল রায়।
উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে মুকুলিত করার প্রয়াস তৃণমূলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, যে সমস্ত এলাকায় খামতি রয়েছে সংগঠনে, সেখানে মুকুল রায়কে ব্যবহার করে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা। আর তৃণমূলের দুর্বল জায়গা বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গ। তা আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল মুকুল রায়ের দল ছাড়ায়। তিনি এসে গিয়েছেন, ফের উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে মুকুলিত করার প্রয়াসও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির বাড়বৃদ্ধি রোখার কাজ শুরু ডুয়ার্সে ধস নামিয়ে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব-কলমে উত্তরবঙ্গের ভার মুকুল রায়ের উপর তুলে দিয়েছেন। পাহাড় থেকে সমতল, মিরিট থেকে মালদহের সংগঠন এবার শক্তিশালী করে ২০২৪-এর আগে তৃণমূলকে জয়ের রসদ জোগাড় করে দেবেন মুকুল রায়। আলিপুরদুয়ার দিয়ে শুরু হল বিজেপির বাড়বৃদ্ধি রোখার কাজ। ডুয়ার্সে ধস নামিয়ে বিজেপির পাহাড় লাইনও কেটে দিতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল।
ভাঙছে বিজেপি, তৃণমূলে ফিরেই মুকুলের খেল শুরু
উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও তৃণমূল শক্তি বাড়াবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুরকেও পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন মুকুল। মোট কথা মমতার হাত ধরে তৃণমূলে ফিরেই মুকুলের খেল শুরু হয়ে গিয়েছে। একটা দলের জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে ভাঙিয়ে আনা চারটিখানি কথা নয়। সেই কাজটাই করে দেখালেন মুকুল রায়।
ফের বঙ্গভঙ্গের আওয়াজে বিজেপির বুমেরাং হবে
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি ও সাত হেভিওয়েট জেলা নেতার দলবদলের পরেই মুকুল রায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপিতে শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার ভোটে হেরেছে। সেই হার সহ্য করতে না পেরে এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিজেপির কোনও কোনও নেতা। তারই ফল ফের বঙ্গভঙ্গের আওয়াজ তোলা। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি ভালোভাবে নেয়নি বাংলা। তার ফল ভুগবে বিজেপি।