জিজ্ঞাসাবাদে স্মৃতিভ্রংশের দাবি
এর আগের মতো রবিবারও অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবাকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অমৃতাভ চৌধুরীকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সেখানেও অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, অমৃতাভ চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ হলেও, তিনি নাকি সেকথা মনেই করতে পারেননি। নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের ক্ষেত্রেই অমৃতাভ স্মৃতিভ্রংশের কথা বলছেন বলে দাবি সিবিআই-এর।
ডিএনএ পরীক্ষার সম্ভাবনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদে অমৃতাভ নাকি দাবি করেছেন, ২০১৭-তে তিনি ফিরে আসেন। আরও দাবি দুর্ঘটনার পরে তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে। মধ্যের সাত বছর (২০১০ থেকে ২০১৭) তিনি কোথায় ছিলেন, তা তাঁর মনে নেই। এই পরিস্থিতিতে আসল অমৃতাভকে খুঁজে বের করতে ডিএনএ প্রোফাইলিং-এর সাহায্য নিতে চলেছে সিবিআই।
রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি
জিজ্ঞাসাবাদে অমৃতাভের বয়স নিয়ে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে জন্মসাল ১৯৮২। কিন্তু সিবিআই-এর হাতে আটক অমৃতাভের বয়স অন্তত ১০ বছর কম। অন্যদিকে ডিএনএ রিপোর্ট তৈরি নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি কিসের ভিত্তিতে চৌধুরীর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে চলেছে সিবিআই। এব্যাপারে রেলের কর্মীদের একাংশের জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি হাতানোর অভিযোগ
২০১০-এর ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ সেই সময় জীবিত থাকা অমৃতাভ চৌধুরীকে মৃত দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি নিয়েছিল চৌধুরী পরিবার। এই মুহূর্তে শিয়ালদহে রেলে সিগন্যাল বিভাগে চাকরি করছেন অমৃতাভের বোন। বাবা ভুয়ো তথ্য দিয়ে চাকরি হাতানোর কথা স্বীকার করে নিলেও অমৃতাভের পরিচয় নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।