অসন্তুষ্ট দিলীপ ঘোষও
ভোটের আগে অশোক লাহিড়ীকে আলিপুরদুয়ার থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার চাপেই তাঁকে সরিয়ে বালুরঘাটে আনা হয়। সেই গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এদিন ছয় অনুহত নেতাকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তিনি বলেছেন, আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি আসনের মধ্যে পাঁচটিই তিনি বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের আগে তিনি বিজেপি ছাড়তে চাননি, কেননা তখন তা করলে তাঁকে গদ্দার বলা হয়। এদিন তিনি দাবি করেন, ভোটের সময় যেভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের মাথায় বসে কাজ করে গিয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট ছিলেন দিলীপ ঘোষও।
নিশানায় বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য এদিন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়ী করেন। তাঁরা হলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেনন। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই নেতার চোখ দিয়েই কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যকে দেখেছিলেন, সেই কারণেই ভরাডুবি হয়েছে। প্রসঙ্গ এর আগে এই দুই নেতাকে নিশানা করেছিলেন তথাগত রায়ও। তিনি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে কার্যত ভেদো বেড়াল বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী
গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন, তা বিজেপির অন্দরমহলেও খবর ছিল। যে কারণে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আলিপুরদুয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ। কিন্কু তা না হওয়াতেই দলত্যাগ। এদিন বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গাপ্রসাদ। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তা সবাই জানেন। আর মনোজ টিগ্গার যেখানে বিরোধী দলনেতা হওয়ার কথা, সেই পদ দখল করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে চাননি মনোজ টিগ্গা। এব্যাপারে তিনি বলেছেন, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন।
গঙ্গাপ্রসাদকে নিশানা করেও প্রশংসা
এদিন দলবদল নিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন ভোটের আগেই। সেই জন্য তার ওপরে নজরদারিও ছিল। তবে মুকুল রায়ের থেকে তাঁকে আলাদা করেছেন সায়ন্তন বসু। তিনি বসেছেন মুকুল রায় বিজেপিতে এসেই চলে গিয়েছেন। দলটাকে বুঝতে পারেননি। কিন্তু গঙ্গাপ্রসাদ সেক্ষেত্রে অনেকদিন ছিলেন বিজেপিতে।