কী বলছে আসল তথ্য ?
এবার দেখা যাচ্ছে কর্নাটকে এতদিন যে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছিল সরকারি খাতায় তা আদপে বাস্তব পরিসংখ্যানের থেকে ৬ গুণ কম। সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের হাত ধরেই বর্তমানে এই তথ্য সামনে এসেছে। তাদের রিপোর্টই বলছে এপ্রিলে প্রথম এই রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে মারণ করোনা। সেই সময় থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত কর্নাটকে মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৮৮ জন।
সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে ৫.৮ গুণ বেশি আসল মৃত্যু
যা সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে ৫.৮ গুণ বেশি। আসল গোলযোগ দেখা যাচ্ছে গত বছরের এপ্রিলে পরিসংখ্যানে ও চলতি বছরের মে মাসের পরিসংখ্যানে। দুই মাসে যথাক্রমে ৪৬ হাজার ও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু সংযোজিত হলেও সরকারি খাতায় তা তোলা হয়নি। রেজিস্টার্ড হয় মাত্র ১৬ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু। সেখানে বাড়তি মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৭২৮। যা আসল পরিসংখ্যানের থেকে ৩.২৫ গুণ কম।
কারচুপি রুখতে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর নিয়ম বদল
অন্যদিকে জুনের ১৯ তারিখ পর্যন্ত সরকারি খাতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭৬৩। এদিকে রাজ্যে রাজ্যে মৃতের সংখ্যায় কারচুপি রুখতে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর নিয়ম বদল করে ফেলল কেন্দ্র। বার থেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও কারণ হিসাবে করোনা উল্লেখ করতে হবে। কারন এতদিন মৃত্যুর কারণে হিসাবে অনেক ক্ষেত্রেই একাধিক কোমরবিডিটির কারণকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছিল। এদিকে ইতিমধ্যেই করোনা তথ্যে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের পাশাপাশি কারচুপির অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে।
৮৮ দিনে সর্বনিম্ন দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ, সাপ্তাহিক পজিটিভ রেট ৫ শতাংশের নীচে
একনজরে ভারতের করোনা পরিসংথ্যান
এদিকে বর্তমানে ভারতে আরও কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। সরকারি হিসাব বলছে সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৬ জন মানুষ। ৮৮ দিন পর যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ২২১।