১১ জুন তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়
১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। মধ্যে তিনবছর নয়মাস তিনি গেরুয়া শিবিরে কাটিয়েছেন। আর ২০০১ সালের পরে ২০২১-এর সরাসরি জনগণের দরবারে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরত যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি দাবি তুলতে শুরু করে আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিন মুকুল রায়। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ মুকুল রায়।
দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি
এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর অনুযায়ী তৃণমূল অপেক্ষা করছে বিজেপি শিবির থেকে এক তৃতীয়াংশ বিধায়ক ভাঙাতে। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৫। ভাঙন ঠেকাতে বিজেপি তৎপর। ১৪ জুন রাজভবনে ৫১ জন বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও পরের এক অনুষ্ঠানে ৫৪ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। মুকুল রায়ও এর শেষ দেখতে চান। এদিন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে মুকুল রায় বলেছেন, বিজেপির শেষের শুরু।
বিজেপির হাতিয়ার কুণাল ঘোষের অভিযোগ
মুকুল রায়ে বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করতে সবরকম পথই ভেবে দেখছে বিজেপি। ২ মে ফল বেরনোর পর পর বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনী হলফ নামায় তথ্য গোপন করেছেন মুকুল রায়। হলফনামায় মুকুল রায় নারদ মামলার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, মুকুল রায়কে কে জানানালেন যে তিনি নারদ মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বিজেপিতে রয়েছেন বলেই কি নারদ মামলা থেকে ছাড় পেয়েছেন মুকুল রায়? কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যকেই এবার হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি।
এটা শুধুই পূর্বাভাস, শেষের শুরু ওদের! বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েই দিলীপ-শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি 'চাণক্যে'র
বিষয়টির দেখভাল করছেন শুভেন্দু অধিকারী
এই মুহূর্তে পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। একমাস আগের মুকুল রায় আর এখনকার মুকুল রায় সম্পূর্ণ বিপরীত শিবিরে। যা নিয়ে বিজেপি শিবির থেকে বলা হয়েছে, মুকুল রায়ের বিষয়টি দেখছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের সদস্যপদ তিনি খারিজ করিয়েই ছাড়বেন তিনি। তবে বিজেপি এব্যাপারে সব পথই ভেবে রাখতে চায়।